প্রকাশ: শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩, ৮:৫০ পিএম |

যশোরের বাজারে চালের দাম গত এক সপ্তাহে কেজি প্রতি দু’ থেকে চার টাকা কমেছে। চালের পাশাপাশি কমেছে পেঁয়াজ, আলু, রসুন, কাঁচা ঝাল এবং জিরার দামও। অপরিবর্তিত রয়েছে সয়াবিন তেল, আটা, ডাল, ডিম ও চিনির দাম। তবে, প্রতি কেজি ছোলায় বেড়েছে দু’ টাকা। সরকারি তদারকি না থাকলে রমজানের আগে সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম কেজি প্রতি দু’ থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমেছে। দোকানিরা বলছেন, ব্রি-৬৩ চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৩ থেকে ৭৪ টাকা। জিরা মিনিকেট ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকায়। আর মোটা জাতের বিভিন্ন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকার মধ্যে। আবুল কাশেম চাউলের দোকানের স্বত্বাধিকারী হাবিব বলেন, কিছুদিন পরই নতুন চাল বাজারে আসবে। মজুতকারীরা ধান বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। যোগান বেশি বলে দাম একটু কমেছে।
প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ আর ময়দা ৬৫ টাকা। গত সপ্তাহে লেয়ারের ডিমের হালি ছিল ৪৬ আর দেশি ডিম ৬০ টাকা। এ সপ্তাহেও ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০, মসুর ডাল দেশি ১২৫ থেকে ১৩০, আমদানিকৃত মসুর ডাল ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।
সবজির দর কমেছে গত সপ্তাহের তুলনায়। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, যা বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা দরে। পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ১৫-২০, মিষ্টি কুমড়া ৩০,ভারতীয়সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৪-১৮৫ (খোলা) ও প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮৮ থেকে ১৯০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে অতি মুনাফাখোররা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেজন্য এখনই বাজার তদারকি শুরু করতে হবে।