প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩, ৮:৪৪ পিএম |

বুধবার ১৫ মার্চ ছিলো জাতীয় ভ্ক্তুা অধিকার দিবস। যশোরের ডিসি চাচা আগাম কইয়ে রাকিলেন এই দিন তিনি ব্যবসায়ীগের সাতে বাজারের জিনুস পত্তরের দাম দর নিয়ে কতা কবেন। তাই গুড়ি মাইরে আইগোয় গিলাম। কালেকট্রির সভার ঘরে যাইয়ে দেকি লোকে লুকারন্য। কোন চিয়ার খালি নেই, সব ভরা। এক এক কইরে গোস্ত, গ্যাস, তেল চিনি আটা ময়দা ছুলা, বেকারী ব্যবসায়ীরা কতা কচ্চিলেন। তাইগের পিরায় স¹লির মুকির কতার সারমম্ম হচ্চে বাজার খারাপ ব্যবসাপাতি নেই। ব্যবসায়িগের পতে বসার জুগাড় মনে হচ্চিল। এএসপি ফিরোজ কবির চাচাতো তার বক্তিমায় কইয়েই ফেললেন, ব্যবসায়ীগের কতাবাত্তার শুইনে মনে হচ্চে তারাই ভুক্তাগের চাইতি বেশি মাওড়া হইয়ে গেচে।
সব ব্যবসায়ীরা কম বেশ হাজির থাকলিও ভুকসি মারিলো ফল ব্যাবসায়ীরা। তাইগের নাম বেশ কবার ঘোষনা করা হলিও বাটি চালোক দিয়ে তাইগের হদিস মিলিলো না। ভুক্তা অফিসার ওয়ালিদ চাচা কলেন, এই কেবল দেকলাম, কনে গ্যালো! ফল ব্যবসায়ীগের কুককুড়ি খেলার মানে হচ্চে রুযায় তারা ঘা দেবে বিলে সানায় আছে। ডলার, ইমপোট, খচ্চাপাতি, তেলের দাম ইডা সিডার দুহাই দিয়ে ফলের বাজার আগেত্তেই তাতায় রাইকেচে তারা। বারবার তরমুজ কুড়ি বা শ’ হিসেবে কিনে আইনে ওজন কইরে বেচতি বারোন দিলিও তা ঘাস জল খাচ্চে না। আঙ্গুর আপেল কুমলা, মাল্টা এই সবের গায় হাত দিয়ার জো নেই। আর রুযায় সবার দরকারি ফল খাজুর তো আগেত্তেই দাম দুই আড়াই গুন বাড়ায় থুইয়েচে।
গ্যালোবার গরীবির বাস্তার লুজ যে খাজুর একশ’র নিচে কেজি ছিল ইবার তা দুশোর কাছে। আর বড়লোকি খাজুর মইরম, আজুয়া, মশরুম এই সব তো কেজি দুই হাজার হলি ভালো হয় ইরাম কইত্তেচে ব্যবসায়ীরা। রুযার মাস আসলি কিডা কার আগে আগের লাইনি জামাত ধরবে তাই নিয়ে যিরাম পাল্লাপাল্লি হয় ঠিক সিরাম পাল্লাপাল্লি হয় জিনুসির দাম বাড়ানো নিয়ে।
ডিসি চাচা তাইগের রুযার মাসে মুনাফা দেড়ি না করার অনুরোধ কল্লিও তা মিটিংতে বাইরোয় যাওয়ার সুমায় ডিসি অপিসি থুইয়ে গ্যালো কিনা আল্লায় জানে। আর ফল নিয়ে যে ফালাফালি হবে তা ব্যবসায়ীগের ডাবি মারার আলামতে বুজ কইরে দেচ্চে। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮ ৮৭১০০৩