প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩, ৯:২০ পিএম |

যশোরের মণিরামপুরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শ^শুরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় মণিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও এসআই আতিকুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। থানায় হত্যা মামলা দায়ের না করে আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলা দায়ের করে এ হত্যার ঘটনায় সহযোগী হিসেবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করেছেন নিহতের পিতা যশোর সদর উপজেলার ভায়না গ্রামের মাহমুদুজ্জামান।
অন্য আসামিরা হলেন নিহত নাওয়াল জামান ওরফে বরিষার স্বামী মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের আরশীল কবীর, তার বাবা আজমত হোসেন, মা আসমা বেগম, একই গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মনিরুল ইসলাম, মনিরুলের স্ত্রী শীল্পি বেগম, এনায়েত মোল্লার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও উজ্জল আহম্মেদের স্ত্রী ইরানী ফারজানা। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ২১ মার্চ আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, মেয়ে নাওয়ালকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন কবীর। যা মেনে নেননি নাওয়ালের পরিবার। এ কারণে বিভিন্ন সময় নাওয়ালকে কবীরের পরিবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। যা মোবাইল ফোনে পরিবারকে জানান নাওয়াল। এরমাঝে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় বাদী পরিবারকে জানানো হয় নাওয়াল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরে মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। মুখ ও থুতনীতে জখমের চিহ্ন দেখা যায়। কিন্তু গলায় কোনো ফাঁসের দাগ ছিলনা। এছাড়া, আশপাশের লোকজনের কাছে শুনে অনুমান করেন নাওয়ালকে মারপিট করে হত্যা করে পরে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে আরশীলের পরিবার।
বিষয়টি বুঝতে পেরে নাওয়ালের মা নওশাবা তানবীন মণিরামপুর থানায় হত্যার অভিযোগে একটি অভিযোগ করেন। যার তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আতিকুজ্জামান। বাদীর অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত না করেই আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রমাণ থাকা সত্বেও থানায় হত্যা মামলা দায়ের না করে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা নেয়া হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এসআই আতিকুজ্জামান আগে আসামিদের এলাকা নেহালপুরের ক্যাম্প ইনচার্জ ছিলেন। শুধু তাই নয়, বাদীর মেয়েকে যখন প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপরহরণ করে নিয়েছিলেন আরশীল সেসময়ও এসআই আতিকুজ্জামান সহযোগিতা করেছিলেন।
বর্তমানে আসামিরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে হত্যার পরিবর্তে আত্মহত্যায় রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা করছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।