
যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রনজিৎ কুমার রায় বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
শুক্রবার যশোরের বাঘারপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও শিশুদিবস উপলক্ষে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
রনজিৎ রায় বলেন, ‘আমাদের শপথ নিতে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার। আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, তারা আওয়ামী লীগের কেউ না। আওয়ামী লীগ হচ্ছে কর্মীর দল।
সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে রনজিৎ রায় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছে, অন্যকোন সরকার এর আগে এত উন্নয়ন করেনি। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের রয়েছে অফুরন্ত সম্পদ। একদিন আমরা ধনি দেশে পরিণত হবো।
জামাত-বিএনপির সমালোচনা করে সংসদ সদস্য রনজিৎ রায় বলেন, তারা হরতাল ডেকে বাড়িতে বসে ডিসকো নৃত্য দেখে। মাঠে পাওয়া যায়না। দেশের জনগণ আর হরতাল চায়না।
বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাঘারপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আতিয়ার রহমান সরদার ও হরিপদ রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য অধ্যক্ষ আজগার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাবেক সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মুন্সি বাহার উদ্দিন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা, ধলগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সুভাষ দেবনাথ অবিরাম, দোহাকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, দরাজহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, জামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিখিল কুমার আঢ্য, ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন বাবলু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জুলফিকার আলী জুলাই ও কামরুজ্জামান লিটন, যুব মহিলা লীগের আহবায়ক সালমা খাতুন এবং যুগ্ম আহবায়ক রনি ভৌমিক।
আলোচনা সভার পূর্বে সংসদ সদস্য রনজিৎ রায়ের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং পরে দোয়া মাহফিল শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন নেতৃবৃন্দ।