প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম |

যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন। মেয়র শুক্রবার প্রেসক্লাব যশোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মুছা মাহমুদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপন করেন। অন্যদিকে মুছা মাহমুদ মেয়রের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে বৃহস্পতিবার থানায় একটি জিডিই করেছেন। মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সহসভাপতি।
সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র আনোয়ার পাশা জামাল অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ ১৫ মার্চ পৌরসভা কার্যালয়ে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি ঝিকরগাছা থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা আওয়ামী লীগকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তার অভিযোগ, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তার সঙ্গে পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। তিনি দাবি করেন, এর আগে তিনি পৌর পরিষদে সভা করেন। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল বলেন, ১৫ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি পৌরসভায় নিজ কার্যালয়ে থাকার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ কক্ষে ঢুকে সবাইকে বের করে দেন। অফিস কক্ষে ঢোকার মুখে ৭-৮ ক্যাডারকে কক্ষের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এরপর তাকে গালিগালাজ করেন এবং গুলি করে হত্যার হুমকি দেন।
সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু মুছা মাহমুদ নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে তার অফিসে ঢুকে সরকারি কাজে বাধা ও গুলি করে হত্যার হুমকি দেন বলে মেয়রের দাবি।
হত্যার হুমকির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, শহরের সাবেক বোটঘাট এলাকায় পাঁচ শতকের একটি সরকারি সম্পত্তি ডিসিআর না কেটেই মুছা মাহমুদের নেতৃত্বে ব্যক্তিস্বার্থে দখল করে নেওয়া হয়েছে। এতদিন তালাবদ্ধ থাকলেও সেটা খোলা অবস্থায় দেখে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। এর ঘণ্টা খানেক পর এসে মুছা মাহমুদ হত্যার হুমকি দিয়ে যান।
এদিকে, হুমকির বিষয়টি সত্য নয় দাবি করে মুছা মাহমুদ বলেন, ওই জমি আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত অফিসের। যুবলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেনসহ কয়েকজন অফিস খুললে পৌর মেয়র সেখানে গিয়ে তাদের গালিগালাজ করেন। সেখানে পৌর মেয়র ব্যক্তিগত অফিস বানাতে চান। এ বিষয় জানতে তিনি পৌরসভায় মেয়রের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। কিন্ত মেয়র পিস্তল বের করে তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। এসব বিষয় উল্লেখ করে তিনি ঘটনার পরদিন ১৬ মার্চ ঝিকরগাছা থানায় জিডি করেন বলে জানান।