রোববার ২৬ মার্চ ২০২৩ ১২ চৈত্র ১৪২৯
                
                
☗ হোম ➤ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
ইত্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
কাগজ সংবাদ :
প্রকাশ: শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩, ১:০২ এএম |
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ইত্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভেন দেখিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্কুল সভাপতি আশরাফুল আলম মিন্টু ও প্রধান শিক্ষক সুকুমারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দু’অভিভাবক সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে অভিভাবক সদস্য দ্বীন ইসলাম ও তানিয়া বেগম উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর স্থানীয় পত্রিকায় অফিস সহায়ক, নৈশ্য প্রহরী, নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী চার পদে চারজন নিয়োগ মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর চাকরির প্রভোলন দেখিয়ে স্কুলের সভাপতি আশরাফুল আলম মিন্টু প্রধান শিক্ষক সুকুমারের মাধ্যমে ইত্যা গ্রামের অফিস সহায়ক পদে মাসুদ রানার কাছ থেকে ৮ লাখ, রকিব হোসেনের কাছ থেকে ৬ লাখ, নিরাপত্তা কর্মী পদে পুলকের কাছ থেকে ৮ লাখ, তুষার সরকারের কাছ থেকে ৮ লাখ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে রাকিব ইসলামের কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ, নৈশ্য প্রহরী পদে আলমগীর হোসেনের কাছ থেকে ৮ লাখ ও আবুল হোসেনের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এদের কাছ থেকে টাকা নিলেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিজেদের পছন্দে প্রর্থীদের নিয়োগ দিতে পাঁয়তারা শুরু করেছেন। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তালবাহানা করছেন প্রধান শিক্ষক।

ভুক্তভোগী আবুল হোসেনের অভিযোগ, তিনি স্কুলের দাতা সদস্য। প্রধান শিক্ষক তাকে স্কুলে দপ্তরির চাকরি দেয়ার কথা বলে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০১৯ সালের একশ’ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পে অঙ্গিকার কারেন পরবর্তী নিয়োগে তাকে চাকুরি দেয়া হবে। বর্তমান নিয়োগ প্রকাশ করার পর তিনি যোগাযোগ করলে জানানো হয়েছে তার চাকরির বয়স নেই। তার চাকরি হবে না। টাকা ফেরত চাওয়ায় তার সাথে তালবাহানা করা হচ্ছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার জানান, নিয়োগের বিষয়টি স্কুলের সভাপতি দেখছেন। এখানে তার কোনো হাত নেই। তিনি কারও সাথে কোনো অর্থিক লেনদেন করেননি। চাকরি দেয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করার কথা জনতে চাইলে তিনি বলেন, ভুল করে না পড়েই তিনি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেন। স্ট্যাম্পে কি লেখা ছিলো তিনি জানেন না।

স্কুলের সভাপতি আশরাফুল আলম মিন্টু জানান, অভিভাবক সদস্য দ্বীন ইসলাম ও তানিয়া বেগমের সাথে তার রাজনৈতিক শত্রুতা আছে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটে দাঁড়িছিলেন। এ সময়  দ্বীন ইসলাম তার প্রতিপক্ষের ভোট করেছেন। এরপর থেকেই তাদের বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নিয়োগ স্বচ্ছ হচ্ছে। এখানে কোনো অর্থের লেনদেন হয়নি।

জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আজম জানান, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



গ্রামের কাগজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন


সর্বশেষ সংবাদ
বাংলাদেশের জন্মদিন আজ
চাকরি হারিয়েছেন মাদকাসক্ত ১১৬ পুলিশ
ওখানে কে আমাদের ঠেলে বাইরে বের করে দিতে চাইছে?
নুরু মহুরিসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
সন্দীপনে এতিম শিশুদের মধ্যে নতুন কাপড় বিতরণ
মণিরামপুরে ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা
বাঘারপাড়া উপজেলা মসজিদের ইমাম সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বাঁশ কাবাব, রাজস্থানি তান্দুরি ছিল মূল আকর্ষণ
কেন ঊনসত্তরেও ছিলেন সিঙ্গেল, জানালেন সেই সাবেক অধ্যাপক
৫১ বছর বয়সে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী
ব্যসায়ীকে পথে বসাতে মরিয়া সেই বাশার, থানায় অভিযোগ
রামনগর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত
টাকা শূন্য যশোর ডাকঘর!
খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
আমাদের পথচলা | কাগজ পরিবার | প্রতিনিধিদের তথ্য | অন-লাইন প্রতিনিধিদের তথ্য | স্মৃতির এ্যালবাম
সম্পাদক ও প্রকাশক : মবিনুল ইসলাম মবিন | সহযোগী সম্পাদক : আঞ্জুমানারা
পোস্ট অফিসপাড়া, যশোর, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ০২৪৭৭৭৬২১৮২, ০২৪৭৭৭৬২১৮০, ০২৪৭৭৭৬২১৮১, ০২৪৭৭৭৬২১৮৩ বিজ্ঞাপন : ০২৪৭৭৭৬২১৮৪, ই-মেইল : [email protected], [email protected]
কপিরাইট © গ্রামের কাগজ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft