শুক্রবার ২ জুন ২০২৩ ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
                
                
☗ হোম ➤ ইসলামী জাহান
নদী আল্লাহর বড় নেয়ামত
কাগজ ডেস্ক:
প্রকাশ: রোববার, ১৯ মার্চ, ২০২৩, ২:৫৬ পিএম |
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার অপূর্ব সৃষ্টিসমূহের মধ্যে নদী অন্যতম। পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগের একটি ক্ষেত্র নদনদী। শুধু পৃথিবীতে নয়, জান্নাতেও প্রবাহমান নদীর সৌন্দর্য অনুভব করা যাবে- যা কোরআনের বিভিন্ন আয়াত দ্বারা প্রমাণিত।
> নদীর বৈশিষ্ট্য উদারতা: নদী নিজেকে আল্লাহ তাআলার সমুদয় সৃষ্টির জন্য বিলিয়ে দেয়। নদী-সাগরের তলদেশে হিরা-মুক্তোর অবস্থান। এ ছাড়াও মাছসহ বহু হালাল প্রাণীর বাসস্হান নদী। মানবজাতির ব্যবহারের পথে এসব নেয়ামত কখনো বাধা হয় না। নদী নিজের গর্ভে ধারণকৃত পানি মানবজাতির কল্যাণে উৎসর্গ করে। এটাই তার উদারনীতি। তার বুকের ওপর দিয়ে টাইটানিকের মতো বিশাল বিশাল জাহাজ-স্টিমার চলতে সুযোগ করে দেয়। জেলেদের বারবার জাল দিয়ে মাছ কুড়িয়ে নেয়ার মধ্যে ক্লান্তবোধ করে না। বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির পানি গেলে বন্যাকবলিত মানুষকে কষ্ট থেকে মুক্তি দেয়। এভাবে প্রাণহীন নদী-সাগর নিজের উদারতার পরিচয় দেয়।
কোরআনে নদীর নান্দনিক দৃশ্যের কথা: নদীর কথা পবিত্র কোরআনের একাধিক স্থানে উচ্চারিত হয়েছে। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন-
তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন।
উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
উভয় দরিয়া থেকে উৎপন্ন হয় মোতি ও প্রবাল।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
দরিয়ায় বিচরণশীল পর্বতদৃশ্য জাহাজসমূহ তাঁরই (নিয়ন্ত্রনাধীন)
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? (সূরা: আর রাহমান, আয়াত: ১৯-২৫)
> দুনিয়ার চারটি নদীর উৎস জান্নাতে: নদীর অস্তিত্ব শুধু দুনিয়াতে নয়, বরং আখেরাতেও এর অস্তিত্ব রয়েছে। যা কোরআন-হাদিসের একাধিক বাণী দ্বারা প্রমাণিত। নদীকে প্রকৃতি ও পরিবেশের ধারাবাহিকতার সৃষ্টি বলে সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলে হবে না। কারণ, নদী ও সাগরের এ বিশাল আবদ্ধ পানিকে সংরক্ষণ করছেন একমাত্র আল্লাহ। পৃথিবীর এক চতুর্থাংশ হচ্ছে স্থলভূমি আর বাকি তিন অংশ পানি। এ পৃথিবী নামের পানিজগতে মানবজাতিসহ সব সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখছেন শুধু এক আল্লাহই। পৃথিবীর মানচিত্রে অবস্থিত চারটি নদীর মূল উৎস জান্নাত। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘দুনিয়াতে কয়েকটি নদী আছে, যেগুলো জান্নাতেরও নদী বটে। সেগুলো হলো- সাইহান, জাইহান, ফুরাত ও নীল। (সহিহ মুসলিম : ৭৩৪০) আরো বলেন, ‘সিদরাতুল মুন্তাহার গোড়া থেকে জান্নাতের চারটি নদী প্রবাহিত হবে। সেগুলো হচ্ছে নীল, ফুরাত, সাইহান ও জাইহান।’ (প্রাগুক্ত)
> জান্নাত নদী দ্বারা সজ্জিত: জান্নাতকে আল্লাহ তাআলা নদী দ্বারা সজ্জিত করেছেন। নদী জান্নাতের সৌন্দর্য রক্ষার এক মনোহর উপকরণ। এ জান্নাত মুমিন বান্দারা সৎ আমলের বিনিময় স্বরূপ পাবেন। আল্লাহ বিচিত্র নদনদী দ্বারা জান্নাতকে সাজিয়েছেন। এতে পানির নদী, দুধের নদী, সুরার নদী ও মধুর নদী রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘পরহেযগারদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেওয়া হয়েছে, তার অবস্থা নি¤œরূপঃ তাতে আছে পানির নহর, নির্মল দুধের নহর যারা স্বাদ অপরিবর্তনীয়, পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু শরাবের নহর এবং পরিশোধিত মধুর নহর। তথায় তাদের জন্যে আছে রকমারি ফল-মূল ও তাদের পালনকর্তার ক্ষমা। পরহেজগাররা কি তাদের সমান, যারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে এবং যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি অতঃপর তা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে? (সূরা: মুহাম্মদ, আয়াত : ১৫ )
> নদীতে মানবজাতির বহু নেয়ামত নিহিত: নদী-সাগরকে কেন্দ্র মানুষেরা খাদ্যোৎপাদন, মাছ শিকার, পণ্য পরিবহণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে এবং নদীতে নৌকাসমূহের চলাচলে মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তাআলা আকাশ থেকে যে পানি নাজিল করেছেন, তদ্দ্বারা মৃত জমিনকে সজীব করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সবরকম জীব-জন্তু। আর আবহাওয়া পরিবর্তনে এবং মেঘমালার যা তারই হুকুমের অধীনে আসমান ও জমিনের মাঝে বিচরণ করে, নিশ্চয়ই সে সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্যে। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৬৪)
রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা আরো বলেন-
অর্থ: ‘তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও সুমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে তোমাদের উপকারার্থে এবং তোমাদের এহরামকারীদের জন্যে হারাম করা হয়েছে স্থল শিকার যতক্ষণ এহরাম অবস্থায় থাক। আল্লাহকে ভয় কর, যার কাছে তোমরা একত্রিত হবে।’ (সূরা: মায়েদা, আয়াত: ৯৬)
> কেয়ামতের দিন দুনিয়ার নদী বিস্ফোরিত হবে: ভয়াবহ পরিধি ও গভীরতার নদী-সাগর, যার অভ্যন্তরে রয়েছে বিচিত্র জীবজন্তুর মহাজগৎ- কেয়ামতের দিন এই সাগরে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং তা থেকে ভয়াবহ আগুন জলে উঠবে। সাগরের উত্তাল ঢেউ পৃথিবীর অস্তিত্বকে ধ্বংস করে দিবে। বিভীষিকাময় পরিস্থিতি গড়ে তুলবে। সেই সময় কেয়ামতের ভয়ঙ্কর অবস্থা আরও প্রখর আকার ধারণ করবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন-
অর্থ: ‘আর যখন সাগরকে বিস্ফোরিত করে দেওয়া হবে।’ (সূরা ইনফিতার, আয়াত : ৩)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন-
‘এবং যখন সাগরসমূহকে উত্তাল করে তোলা হবে।’ (সূরা তাকভির, আয়াত : ৬)


গ্রামের কাগজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন


সর্বশেষ সংবাদ
চার দিন পর জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন কাদের গাজী
দলিল থেকেও জমির দখল পাচ্ছেন না চুড়ামনকাটির এক দিনমজুর
মোরেলগঞ্জে জমি দখলে মরিয়া প্রভাবশালীরা
মেধাবী জাতি তৈরিতে দুধের চেয়ে ভালো খাবার আর নেই : ডিসি
কালীগঞ্জের মৃৎশিল্পীরা সরকারি সহযোগিতা চান
হেরোইন মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড
যশোরে বার্মিজ চাকুসহ ৩ কিশোর আটক
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ১৪ জুনের মধ্যেই আঘাত হানতে পারে
লালদীঘির পাড়ে চাঁদার বিনিময়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান
১০ বছর চাঁদা দিলে মিলবে আজীবন পেনশন
দেশের ইতিহাসে সরকার সবচেয়ে বড় নির্বাচনী বাজেট ঘোষণা করবে আজ
দাম কমল এলপিজির
গাওঘরা সরকারি বড় পুকুর নিয়ে উত্তেজনা, তদন্ত দাবি
বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
আমাদের পথচলা | কাগজ পরিবার | প্রতিনিধিদের তথ্য | অন-লাইন প্রতিনিধিদের তথ্য | স্মৃতির এ্যালবাম
সম্পাদক ও প্রকাশক : মবিনুল ইসলাম মবিন | সহযোগী সম্পাদক : আঞ্জুমানারা
পোস্ট অফিসপাড়া, যশোর, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ০২৪৭৭৭৬২১৮০, ০২৪৭৭৭৬২১৮১, ০২৪৭৭৭৬২১৮৩ বিজ্ঞাপন : ০২৪৭৭৭৬২১৮৪, ই-মেইল : [email protected], [email protected]
কপিরাইট © গ্রামের কাগজ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft