প্রকাশ: শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩, ৯:৪২ পিএম |

যশোর সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধ হাসেম আলী হত্যা মামলায় বহুল আলোচিত নুরু মহুরিসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক শামীম মুসা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ১০ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে ওই চার্জশিটে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত ওসমান আলী মোড়লের ছেলে নুর ইসলাম ওরফে নুরু মহুরি, মৃত আকবর আলীর ছেলে মিন্টু আলী খান, আব্দুল কাশেমের ছেলে কবিরুজ্জামান কাজল, ইন্তাজ আলীর ছেলে জাকির হোসেন, ওয়াজেদ আলীর ছেলে আলামিন, মৃত আব্দুল লতিফ গাজীর ছেলে আসানুর রহমান আহসান, মান্নানের ছেলে বিপ্লব হোসেন বাপ্পি ও রবিউল গাজীর ছেলে ইমরান হোসেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ রাতে ভাতুড়িয়ার দাঁড়িপাড়ার তিন রাস্তার মোড়ে আকবর আলীর খেজুর গাছের রস খাওয়া নিয়ে আসামি মান্নান ও মিন্টুর সাথে হাসেম আলীর ছেলে আছর আলীর কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে রাতে নুরু মহুরির নেতৃত্বে আছর আলীর বাড়িতে হামলা করেন আসামিরা। হামলাকারীরা আছর আলীকে বাড়িতে পেয়ে মারপিট করে জখম করেন। ওইসময় আছর আলীর পিতা হাসেম আলী তাকে উদ্ধার করতে গেলে আসামিরা প্রথমে তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং মারপিট করে জখম করে। পরেরদিন সকালে হাসেম আলীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছালে আসামিদের বাধায় হাসাপাতালে নিতে ব্যর্থ হন স্বজনেরা। এদিন বিকেলে বিনা চিকিৎসায় হাসেম আলী বাড়িতেই মারা যান। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। হাসেম আলীর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় ওই বছরের ২৯ এপ্রিল ১৮ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী লিমা বেগম। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্তকালে আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে মান্নান, আতিয়ার রহমান ওরফে আতি খোকা, ইসরাজুল, ইউনুচ আলী, রফিকুল ইসলাম, রাজু আহম্মেদ, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর হোসেন, এনামুল হক ও আব্দুল গফফারের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত সকল আসামি জামিনে আছে বলে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।