প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩, ৯:৪৯ পিএম আপডেট: ৩০.০৩.২০২৩ ১০:০৭ পিএম |

যশোরের নূতন খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ এহসানুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ট্যাব বিতরণে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ট্যাব বিতরণ করার কথা থাকলেও ছয়টির মধ্যে তিনটিই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক গ্রুপ। এই তিনটি ট্যাব সহকারী প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানের দু’ ছেলে ও এক শিক্ষক প্রতিনিধির ভাগ্নিকে দেয়া হয়েছে বলে খাতাপত্রে দেখানো হয়েছে। এ কারণে মেধাবী তিন শিক্ষার্থী, তাদের পরিবারের লোকজন ও অন্যান্য শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানিয়েছেন, মেধাবীদের মেধার স্বীকৃতি দিতে প্রধানমন্ত্রী নবম ও দশম শ্রেণির ১ থেকে ৩ রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থীদের জন্য ট্যাব দিয়েছেন। নূতন খয়েরতলা স্কুলে ছয়জন শিক্ষার্থীকে এই ট্যাব দেয়ার কথা। অথচ কেবলমাত্র নবম শ্রেণির ২ রোল নম্বরধারী সুরাইয়া ইয়াসমিন এবং দশম শ্রেণির ১ রোল নম্বরধারী মঈনউদ্দিন ফাইম ও ২ রোল নম্বরধারী রাজ দেবনাথ ওই ট্যাব পেয়েছে। এর বাইরে নীতিমালা ভেঙে সহকারী প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানের দু’ ছেলে ১০ রোল নম্বরধারী এস রাগীব আবরার ও ১১ রোল নম্বরধারী এসএম কাইফ আবরারকে ট্যাব দেয়া হয়েছে। অথচ ট্যাব পাওয়ার কথা ১ রোল নম্বরধারী শেখ নওরীন স্বচ্ছ ও ৩ রোল নম্বরধারী আল-রাফি-উর রহমানের। অপরদিকে, দশম শ্রেণিতে নিয়মের বাইরে ট্যাব পেয়েছে স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি রাসেলা খাতুনের ভাগ্নি ৪ রোল নম্বরধারী তাসনীম তাবাচ্ছুম। যা পাওয়ার কথা ৩ রোল নম্বরধারী রায়হান হোসেনের।
এ ব্যাপারে নবম শ্রেণির ১ রোল নম্বরধারী নওরীন স্বচ্ছর মা শাহিনুর আক্তার পলি জানান, ‘আমার মেয়ের ১ রোল নম্বর হওয়া সত্ত্বেও তাকে ট্যাব না দিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের ১০ ও ১১ রোল নম্বরধারী দু’ ছেলেকে ট্যাব দেয়া হয়েছে। এ খবর পেয়ে আমার মেয়ে কান্নাকাটি করার পর আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। তবে ট্যাব এখনো দেয়নি’।
প্রধান শিক্ষক সৈয়দ এহসানুর রহমান বলেন, ‘নবম শ্রেণির দু’ শিক্ষার্থী ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের ছেলে এস রাকিব আবরার ও এসএম কাইফ আবরার খুবই মেধাবী। তাই তাদেরকে ট্যাব দেয়া হয়েছে। আর দশম শ্রেণির ৩ রোল নম্বরধারী রায়হান হোসেনের চেয়ে ৪ রোল নম্বরধারী তাসনীম তাবাচ্ছুম স্কুলের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু ভুল করে তাবাচ্ছুমের স্থলে রায়হানকে ৩ রোল নম্বর করা হয়েছিল। তাই রায়হানকে না দিয়ে তাবাচ্ছুমকে দেয়া হয়েছে।’
এ
বিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ১ থেকে ৩ রোল নম্বরধারীকে ট্যাব দিতে হবে। এই বাইরে কাউকে দিলে সেটি অনিয়ম। খয়েরতলা স্কুলে অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।