প্রকাশ: বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩, ২:২৮ পিএম |

গোপনে আড়ি পাতার মতো ঘটনা এখন প্রায়ই ঘটছে। আপনার নিজম্ব সত্ত্বাকে গোপনে বন্দি করার প্রয়াস চালাচ্ছেন অনেকে। এক্ষেত্রে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি থেকেই যায়। এ জন্য আপনাকে বুঝতে হবে এই গোপনীয়তার সূত্র।
তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে গোপনীয়তার জায়গা থেকে আপনি কতটা নিরাপদ? আপনার তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবসার প্রসার বাড়ায় টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ করেছেন টুইটারের সিইও ইলন মাস্ক এবং তার সংস্থার ফুয়াদ দাবিরি নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। ফুয়াদ দাবি করেন, ঘুমানোর সময় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে তার মাইক্রোফোন চালিয়ে রেখেছিল।
হোয়াটসঅ্যাপকে একেবারেই বিশ্বাস করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ইলন মাস্ক। এমন কথা শুনলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তি আর কতটুকুই বা থাকে।
তাহলে কি আসলেই গোপন কথা সব জেনে ফেলছে হোয়াটসঅ্যাপ? বিশ্বাসের পারদ যখন এমন ওঠানামা করছে তখনই জবাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মাস্ক ও তার কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি বলছে এই মাইক্রোফোন দ্বারা রেকর্ডিং নিয়ে তাদের কোনো দায় নেই। যে ফোনটি ব্যবহার করেন, সেটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা চালিত, গুগল পিক্সেল ৭ প্রো ফোন। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, মাইক্রোফোন চালিয়ে রাখার কাজটি অ্যান্ড্রয়েডই করে।
পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ আরও জানিয়েছে, তাদের চ্যাট থেকে শুরু করে অডিও, ভিডিও কলিংয়ের সবকিছুই অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশনের দ্বারা সুরক্ষিত। এই এনক্রিপশনের অর্থ হলো মানুষ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যে বার্তা পাঠায়, যা কথোপকথন করে, তার সবই একটা কোডের আকারে পৌঁছায় কোম্পানির কাছে। আর সেই কোডগুলো কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব নয়।
প্রতিষ্ঠান যতই দাবি করুক আপনার দায়িত্ব হচ্ছে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা। এই প্রয়োজনে আপনাকে জানতে হবে কিছু কৌশল। আপনার কথা যাতে কোনোভাবেই আর কেউ শুনতে না পারে এ জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনীও কিন্তু রয়েছে আপনার হাতে। এ জন্য বন্ধ রাখতে হবে মাইক্রোফোন। একটু জেনে নেয়া যাক এবার।