প্রকাশ: রোববার, ২১ মে, ২০২৩, ৬:২৭ পিএম |

বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেনডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের ২১ মে বিকেলে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমেরিকা আরও উন্নত পরিবেশ চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ সময় বাণিজ্য, কৃষি, শ্রম ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আলোচনায় আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশটা আরও উন্নত করার জন্য বলেছেন তারা। আমরা বলেছি এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, আমরা চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যেই অনেকক্ষেত্রে প্রতিবছর যে লাইসেন্স নবায়ন করতে হতো এগুলো আমরা সহজীকরণ করেছি, পাঁচ বছর পর্যন্ত নবায়ন করা যায়। আমরা ব্যবসার পরিবেশ এবং প্রক্রিয়া সহজীকরণে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারা বলছে এটি হলে তাদের বিনিয়োগটা বাড়বে। কোনো কোনো মার্কিন কোম্পানির পেমেন্টের ক্ষেত্রে একটু বিলম্ব হচ্ছে, আগামীকাল তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মিটিং আছে সেখানে এটি তোলার জন্য আমরা বলেছি।

বাণিজ্য সচিব বলেন, এছাড়া আমরা আইপিআর (ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি রাইটস) নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে কিছু কিছু আইপিআর ভায়োলেশন করে কিছু প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট হয়েছে। আমরা জোরালোভাবে বলেছি বাংলাদেশ থেকে কোনো কাউন্টারট্রেড প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট হয় না। বিশেষ করে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও আমেরিকায় সেটি হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সেখানে আমাদের যারা ইম্পোর্টার তাদের একটি প্রসেস আছে। সেখানে কোয়ালিটি ইন্সপেকশন হয়, প্রত্যেকটা ধাপে ইন্সপেকশন হয় এবং সোশ্যাল অডিটও হয়। অনেক ক্ষেত্রে একাধিক অডিটও হয়।
তিনি বলেন, দেখা যায় একজন সাপ্লায়ার দুই তিনটা আমদানিকারককে সাপ্লাই দিলে তিন রকম মান যাচাই হয়। এখানে পাল্টা বাণিজ্য পণ্যের সুযোগ নেই। অনেক ক্ষেত্রে অন্য কোনো দেশ তাদের ওয়েবসাইটে যদি আমাদের কোনো প্রোডাক্ট দেখায় যে ইটস ফ্রম বাংলাদেশ এবং কেউ যদি বলে এটা কাউন্টারট্রেড সেই দায়িত্ব তো আমরা নিতে পারি না। তারপরও যদি কোনো অভিযোগ আসে সেটি আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে যে টিফফা বৈঠক হয়েছিল সে বিষয়গুলোর ফলোআপ আলোচনা হয়েছে। এখন থেকে ইউএস কটনের ফিউমিগেশন লাগবে না। বেস্ট এটা সেটেল হয়ে গেছে সেজন্য তারা আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।