প্রকাশ: বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩, ৯:৪২ পিএম |

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি পান তিনি। বুধবারই তার অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল। সিনিয়র সচিব হওয়ার একদিন পর এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক এ নিয়োগ পেলেন তিনি। বুধবার এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ০৫.০০.০০০০.১৪৬.০০.০০১.১৭ (অংশ -১)-২০৬ প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৯ অনুযায়ী বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমানকে তার অবসর-উত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতদের শর্তে আগামী ২৫ মে অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের দশম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। ১৯৯১ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০১১ সালের পহেলা আগস্ট থেকে ২০১৪ সালের পহেলা জুলাই পর্যন্ত যশোরের ২৮তম জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যশোর থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ইনোভেশন হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি এটুআইয়ের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক হিসেব দায়িত্ব পালন করেন। এটুআই থেকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিভাগের কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সচিব পদে পদোন্নতি পান এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। চলতি বছরের ২ এপ্রিল তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব হিসেবে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা হিসেবে যশোর স্বীকৃতি লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর ঈদগাহ ময়দানের জনসভায় যশোরকে এ স্বীকৃতি প্রদান করেন। যার রূপকার ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান। ডিজিটাল বাংলাদেশে বিনির্মাণে অসামান্য অবদান রাখায় তার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, যশোর ২০১১ সালে ই-এশিয়া পুরস্কার অর্জন করে। মাঠ প্রশাসন পর্যায়ে ই- সেবা বাস্তবায়নে অবদানের জন্য সেরা ডিসি পুরস্কার-২০১২, শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে ২০১২ সালে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক’ প্রাপ্তি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে অনন্য অবদানের জন্য সেরা ডিসি পুরস্কার-২০১৩, জনসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘জনপ্রশাসন পদক- ২০১৬’ অর্জন করেন। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালীন জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস- ২০১৯ এ শ্রেষ্ঠ বিভাগের পুরস্কার অর্জন ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে ২০১৯-২০ সালে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার’ অর্জন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, হিসেবে দলগত শ্রেণিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২০ অর্জন তার কর্মজীবনের অনন্য র্কীতির স্বীকৃতি। তার কর্মদক্ষতা ও সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল ভূমি কর উদ্যোগটি তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার উইসিস ২০২২-এ ভূষিত হয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক- ২০২২’ অর্জন করে।