প্রকাশ: শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩, ৮:৫৪ পিএম |

যশোরে আলদা তিনটি সোনা চোরাচালান মামলায় পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। পৃথক এসব মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন পিবিআই পরিদর্শক তৈয়বুর রহমান, শার্শা থানার এসআই মাহফুজ হোসেন ও ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক শেখ ওয়াহিদ্জ্জুামান। এ তিন মামলায় মোট সোনা উদ্ধার হয় ২০ কেজি ৫৪০ গ্রাম।
অভিযুক্তরা হলেন চৌগাছার বড়কাবিলপুর গ্রামের সাজু আহম্মেদ, জিয়ারুল ইসলাম, শার্শার মহিষাকুড়া গ্রামের সাজেদুর, আক্তারুল এবং বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের আব্দুর রজ্জাক সরদার।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৭ জনুয়ারি শার্শার অগ্রভুলোট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচভুলোট গ্রামের নয়কোনা বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুর রাজ্জাকে আটক করেন। এ সময় তার স্বীকারোক্তিতে মোটরসাইকেলের চেসিসের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৬৩ পিচ সোনার বার (যার ওজন সাত কেজি ৩৩৭ গ্রাম) উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপরে বিজিবির হাবিলদার নাসিম মোল্যা শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আসামি আব্দুর রাজ্জাককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অপরদিকে, ২০১৯ সালের ২০ মে সাজেদুর ও আক্তারুলকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আট পিস সোনার বার। যার ওজন ৮৫ ভরি। এ ঘটনায় তৎকালিন এসআই আবুল হাসান শার্শা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এ ছাড়া, ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর যশোর ৪৯ বিজিবি ঝিকরগাছার ব্যাংদাহ বাঁশতলা মোড় থেকে সাজু আহম্মেদ ও জিয়ারুল ইসলামকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০৬ পিচ সোনার বার উদ্ধার করে। যার ওজন ১২ কেজি ৩৫৬ গ্রাম। এ ঘটনায় বিজিরি হাবিলাদার নুর আলম মিয়া ঝিরগাছা থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।