প্রকাশ: সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩, ২:২৫ পিএম |

রোমান্টিক ও ঘুমপাড়ানী গানে বিশেষ পারদর্শী গায়িকা আঞ্জুমান আরা বেগম। তিনি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং মঞ্চের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৩ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। এই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঞ্জুমান আরা বেগমের আজ মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০০৪ সালের ২৯ মে, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আঞ্জুমান আরা বেগম ১১ জানুয়ারি, ১৯৪২ সালে বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাসিরউদ্দিন তালুকদার এবং মাতা জিয়াউন্নাহার তালুকদার।
আঞ্জুমান আরা বেগম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬২ সালে, মাসুদ আলম সিদ্দিকীর সংগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৫৮ সালে ষোল বছর বয়সে প্রথম চলচ্চিত্রে নেপথ্য গানে কণ্ঠ দেন আঞ্জুমান আরা বেগম। ১৯৬২ সালে তিনি এহতেশাম পরিচালিত উর্দু ভাষার চান্দা চলচ্চিত্রের "চান্দনী ভিগি ভিগি হাওয়া" গানে কণ্ঠ দেন। গানটি তখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৬৪ সালে তিনি সুভাষ দত্ত পরিচালিত সুতরাং চলচ্চিত্রের "তুমি আসবে বলে " গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির গীতিকার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক এবং সুরকার সত্য সাহা। এটি সৈয়দ হকের লেখা প্রথম গান।
আঞ্জুমান আরা বেগম ২০২টি বাংলা ও ১৭টি উর্দু ছবিতে গান গেয়েছেন। ”খোকন সোনা বলি শোন’ (সন্তান), ”ঘুম নেমে আয়রে ঘুম নেমে আয়” (তৃঞ্চা ছবিতে আব্দুল জব্বারের সাথে), ”আয়রে আয় ঘুম আয়” (আবির্ভাব ছবিতে এম. এ. হামিদের সাথে), ”সাতটি রঙের মাঝে আমি মিল খুঁজে না পাই” (আবির্ভাব), ”তুমি আসবে বলে কাছে ডাকবে বলে” (সুতরাং), ”এক যে ছিল পুতুল রাজা” (মোমের আলো), ”এক যে ছিল রাজার কুমার” (স্মৃতিটুকু থাক), ”আকাশের হাতে আছে এক রাশ নীল” (আয়না ও অবশিষ্ট), ”নামের বড়াই কোর নাকো নাম দিয়ে কি হয়” (পিতাপুত্র), ”বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিল” (মণিহার) সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী আঞ্জুমান আরা।
আঞ্জুমান আরা বেগম ২৯ মে, ২০০৪ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার ধানমন্ডির মসজিদ-এ-তাকওয়ায় তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তাকে ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।