প্রকাশ: বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩, ৭:৪২ পিএম |

ফরিদপুরের মধুখালীতে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বাড়ির আংশিক জায়গা দখল করে আছে দুলু মোল্যা ও মফিজ ওরফে মফি মোল্যা নামে প্রতিবেশি দুইভাই।
সরেজমিনে জানা যায়, সীমানা জটিলতায় নিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে উভয় পক্ষ গ্রামের মুরব্বীদের উপস্থিতিতে আমিন এনে উভয় বাড়ীর জমি জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। প্রতিবেশি দুলু মোল্যার বাথরুম, রান্না ঘরের আংশিক এবং মফি মোল্যার বাথরুম ও গোয়াল ঘরের আংশিক মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হকের সীমানার মধ্যে পড়ে। এসময় উপস্থিত গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ওই বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। বাথরুম, রান্না এবং গোয়ালঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য। উভয় পক্ষয় এ সিদ্ধান্ত মেনে নেন। কিন্তু অক্টোবর মাস শেষ হয়ে গেলে তারা ওই বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পুনরায় সময় চান। মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক তাদেরকে আবার সময় দেন। পরবর্তীতে ডিসেম্বর মাস শেষ হয়ে গেলে বাথরুম, রান্নাঘর এবং গোয়ালঘর না সরিয়ে দুলু এবং মফি গং নানা রকম তালবাহানা করতে থাকেন।
বিভিন্ন সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক ও তার পরিবারকে নিয়ে দুলু, মফি গং কটুবাক্য, গালিগালাজ ও মানহানিকর কথা মানুষের কাছে বলতে থাকেন যা গ্রামের অনেকেই জানেন। সর্বশেষ গত ২৪ মে দুলু এবং মফি দুই ভাই এনামুল হকের সীমানা পিলার ভেঙ্গে ফেলে এবং সেখানকার বিভিন্ন ফলজ গাছের ডাল কেটে গাছের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক ঢাকায় তার ছেলের বাসায় অবস্থান করছিলেন। ২৪ মে মফি ও দুলু বীরমুক্তিযোদ্ধা এনামুল হকের বড় ছেলে তারিকুল ইসলামকে বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলাতে চাকরির সুবাদে বসবাসরত আছেন। তাকে মোবাইলে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন প্রতিপক্ষগণ। সে কারনে তারিকুল ইসলাম পরেরদিন ২৫ মে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মধুখালী থানায় দুলু মোল্ল্যা ও তার ছেলে মাহাব মোল্যা এবং মফি মোল্যা ও তার ছেলে সামছু মোল্যার নামে মধুখালী থানায় একটি জিডি করেন।