বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬ আশ্বিন ১৪৩০
                
                
☗ হোম ➤ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
লালদীঘির পাড়ে চাঁদার বিনিময়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান
কাগজ সংবাদ:
প্রকাশ: বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩, ১১:২৩ পিএম |
যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে নতুন করে ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের বসানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি চক্র তাদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার বিনিময়ে বসার সুযোগ দিচ্ছে। ফলে, নাগরিকদের উন্মুক্ত বাতাস নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি চক্র চাঁদা আদায় করছে। তবে, কারা চাঁদা আদায় করছে সেই সম্পর্কে মুখ খুলছে না কেউই। তবে, এখান থেকে পৌরসভা কোনো ধরনের চাঁদা নিচ্ছে না, কারা নিচ্ছে সেই তথ্যও তাদের কাছে নেই।  
লালদীঘির পাড় সংস্কারের পর প্রথম দিকে সকাল, বিকেল ও সন্ধ্যায় হাঁটাচলার জন্য দারুণ পরিবেশ ছিল। বিশেষ করে শহরের লোকজন সন্ধ্যায় এখানে এসে কিছুটা হলেও বিনোদন করতেন। গ্রহণ করতেন উন্মুক্ত বাতাস। বর্তমানে সেই পরিবেশ নেই। এখন পুরো চত্বরই পার্কিং আর ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের দখলে। এ কারণে চলাফেরায় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে বিকেল থেকেই শুরু হয় ভ্রাম্যমাণ দোকানের কার্যক্রম। 
স্থানীয় মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা কিছু লোকজন রুটিন মাফিক এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানির কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। কিন্তু ভয়ে কেউ কথা বলে না বলে দাবি স্থানীয় মার্কেট মালিকদের।
পৌর কর্মকর্তারা বলছেন, খুব শিগগির লালদীঘি পাড়ের অবৈধ দখলদার মুক্ত করে পুনঃসংস্কার করা হবে। 
যশোর শহরের এমকে রোডে পুরাতন পৌরসভার পেছনে প্রায় দেড়শ’ বছর আগে এক একর ১২ শতাংশ জমির ওপর লালদীঘি খনন করা হয়। নাগরিকদের পানি সরবরাহ সুনিশ্চিত করার জন্য এই দীঘি খনন করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। 
যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর আমলে শহরের প্রাণকেন্দ্র লালদীঘি পাড়ের চারপাশের পাড় কংক্রিটে বাধাই করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল দীঘির পাড়ের ফুটপাতে স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকেরা হাঁটাচলা করতে পারবেন। একইসাথে পাড়ের চারপাশে নাগরিকদের বসার জন্য কংক্রিটের একাধিক নান্দনিক চৌকি নির্মাণ করা হয়। যার জন্য সকাল, বিকেল আর সন্ধ্যায় হাঁটাচলা ও বিশ্রামের জন্য নান্দনিক স্থানে রূপ নেয় লালদীঘি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকানি বলেন, বিকেল হলেই ফুটপাতগুলোতে মোটরসাইকেল আর বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির গাড়িতে ভরে যায়। এতে তাদের দোকান পরিচালনা করতে বেশ বেগ পেতে হয়। তাছাড়া, সন্ধ্যার দিকে এক শ্রেণির লোকজন এসে চাঁদা তোলে বলেও অভিযোগ তাদের। এ নিয়ে অনেক সময় গোলযোগ হয়।  
মফিজুর রহমান নামে একজন পথচারীর দাবি, তিনি এ পথে প্রায়ই যাতায়াত করেন। কিন্তু আলী রেজা রাজু উন্মুক্ত মঞ্চটি যে কাজের জন্য ব্যবহারের কথা তা হচ্ছে না। এখন গাঁজা, সিগারেট বা মাদক সেবনকারীদের দখলে চলে গেছে মঞ্চটি। 
যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমাণ দোকান ২০-২৫ দিন আগে পৌরসভা উচ্ছেদ করে। ওইসময় বেশ কিছু লোককে জরিমানা করা হয়।



গ্রামের কাগজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন


সর্বশেষ সংবাদ
এক বালি খেইকোর প্যাটেই ৬৬৮ কোটি সেপটি!
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ওআইসিকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান
কবরস্থান থেকে ৪ কঙ্কাল চুরি
রাজধানীতে ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই ২ পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৫
শিক্ষক রবিউলের বিরুদ্ধে এবার দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ
চালপড়া খাওয়ানোর কথা বলে পরিবহন চালককে হত্যার চেষ্টা
যুবককে পিলারে বেঁধে মারপিট বাবা-ছেলে আটক
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
যশোরেই চালু হলো পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র
বেশি শসা খাওয়া বিপজ্জনক!
দুদকের মামলায় খোলাডাঙ্গার লুৎফর কারাগারে
অবৈধ দখলদারের কারণে শুরু করা যাচ্ছে না নতুন ভবন নির্মাণের কাজ
রাজকে ৪ কারণে ডির্ভোস দিলেন পরীমণি
যশোরে একটি রাস্তার অপমৃত্যু
দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত হতে পারে তিন দিন
আমাদের পথচলা | কাগজ পরিবার | প্রতিনিধিদের তথ্য | অন-লাইন প্রতিনিধিদের তথ্য | স্মৃতির এ্যালবাম
সম্পাদক ও প্রকাশক : মবিনুল ইসলাম মবিন | সহযোগী সম্পাদক : আঞ্জুমানারা
পোস্ট অফিসপাড়া, যশোর, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ০২৪৭৭৭৬২১৮০, ০২৪৭৭৭৬২১৮১, ০২৪৭৭৭৬২১৮৩ বিজ্ঞাপন : ০২৪৭৭৭৬২১৮৪, ই-মেইল : [email protected], [email protected]
কপিরাইট © গ্রামের কাগজ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft