বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২ আশ্বিন ১৪৩০
                
                
☗ হোম ➤ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
কেশবপুরে চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর:
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩, ৮:৫১ পিএম |
ভোগতী নরেন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব শফিকুল ইসলাম। বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলার কারণে গা ঘেমে তার পরিবারের শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা সর্দি-জ্বর ও কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হয়েছে।
তিনি জানান, চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর নাড়ির টানে রাজধানী ছেড়ে জন্মভিটায় চলে এসেছেন। বিদ্যুৎ এখন দৈনিন্দন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু তীব্র গরমে  লোডশেডিংএ তার অসুস্থ শরীর যেন নেতিয়ে পড়ছে। বিশেষ করে রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে না আসে ঘুম, না থাকে কোথাও যাওয়ার জায়গা। গরমে শিশুদের চিৎকার চেচামেচিতে দুর্বিষহ অবস্থা হয়।  
ঘন্টায় ঘন্টায় কেশবপুরে চলছে লোডশেডিং। দিন-রাত কয়েক দফায় ১০ থেকে ১২ ঘন্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। তীব্র গরম আর টানা লোডশেডিংএ জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অর্ধেক থাকায় এ পরিস্থি সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস জানাচ্ছে।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় ৮০ হাজার আবাসিক, বাণিজ্যিক, সেচ ও শিল্প গ্রাহক রয়েছে। ওই গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যায় ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট; যা চাহিদার তুলনায় প্রায় অর্ধেক। সন্ধ্যার শুরুতে সব জায়গায় একসাথে বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়। ফলে বাধ্য হয়ে সমন্বয় করে লোডশেডিং করতে হয়। এতে এক ঘন্টা পর পর চলে বিদ্যুতের আসা যাওয়া। পৌর শহরে লোডশেডিং একটু কম দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা বেশি খারাপ। এসব এলাকায় দিন-রাত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে কয়েক কদিন ধরে যশোর অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনে ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠা নামা করে। গত বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাগদা গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় ২ নং ফিডারে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টা। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। অন্য উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেশবপুরের মত এত লোডশেডিং না। 
মজিদপুর গ্রামের গৃহবধূ নাসিমা বেগম বলেন, দীর্ঘ সময় পর পর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে ফ্রিজে রাখা খাদ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাবদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং করা হচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুতের আসা যাওয়ায় ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ায় দারুন ক্ষতি হয়েছে।
কেশবপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম শাহীন আহসান বলেন, হঠাৎ গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে প্রায় অর্ধেক। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।



গ্রামের কাগজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন


সর্বশেষ সংবাদ
যশোরে সাঁতার প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের ভয়েসকল ফাঁস
কেশবপুরে স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করায় কারাদন্ড
তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের মানুষ শান্তি ও নিরাপদে থাকবে : এমপি নাবিল
রেলস্টেশনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যবিপ্রবি শিক্ষার্থী জখম
বিশ্বকাপ দলে না থাকার গভীর ষড়যন্ত্রের কথা জানালেন তামিম
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
দাফনের ৫ দিন পর গৃহবধূকে জীবিত উদ্ধার
ভাতুড়িয়ায় দু’ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা
যশোরে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শঙ্কা
যশোরের চার জনসহ ৫০ বিচারক প্রশিক্ষণে ভারতে যাচ্ছেন
মাসুদ হত্যা মামলার তিন আসামি রিমান্ডে
আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে স্বামীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
বাবা নয়, সন্তান বুদ্ধিমান হয় মায়ের কারণেই!
আমাদের পথচলা | কাগজ পরিবার | প্রতিনিধিদের তথ্য | অন-লাইন প্রতিনিধিদের তথ্য | স্মৃতির এ্যালবাম
সম্পাদক ও প্রকাশক : মবিনুল ইসলাম মবিন | সহযোগী সম্পাদক : আঞ্জুমানারা
পোস্ট অফিসপাড়া, যশোর, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ০২৪৭৭৭৬২১৮০, ০২৪৭৭৭৬২১৮১, ০২৪৭৭৭৬২১৮৩ বিজ্ঞাপন : ০২৪৭৭৭৬২১৮৪, ই-মেইল : [email protected], [email protected]
কপিরাইট © গ্রামের কাগজ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft