মামলা থেকে আসামির নাম বাদ দেয়ার কথা বলে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক পুলিশ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। আসামি গোলাম মোস্তফা হেলা যশোর সদর উপজেলার দোগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি গাজীপুরে ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। বৃহস্পতিবার মামলাটি করেছেন চৌগাছা উপজেলার পুড়াহুদা গ্রামের ইকবল হোসেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। 

ইকবল হোসেনের অভিযোগ, গোলাম মোস্তফা হেলা তার আত্মীয় এবং তার সাথে বন্ধুতপূর্ণ সম্পর্ক। ইকবল হোসেনের শ্যালক সোহরাব হোসেনও পুলিশে চাকরি করেন। বর্তমানে সোহরাব হোসেন ঢাকায় কর্মরত। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সোহরাব একটি প্রাইভেটে যাচ্ছিলেন। ওই প্রাইভেট থেকে ১১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হয়। পরে ইকবল হোসেন তার বন্ধু পুলিশ ইনসপেক্টর গোলাম মোস্তফা হেলার সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি আশ্বস্ত করেন সাত লাখ টাকা দিলে মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হবে। কথা অনুযায়ী তাকে ওই টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু মামলা থেকে সোহরাবকে অব্যাহতি দিতে ব্যর্থ হন গোলাম মোস্তফা। টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা করেন। একপর্যায় এক লাখ টাকার একটি চেক দিলেও তা ডিজঅনার হয়। সবশেষে গত ২৩ এপ্রিল সকালে ইনসপেক্টর গোলাম মোস্তফা হেলার বাড়িতে গিয়ে সাত লাখ টাকা ফেরত চান ইকবল হোসেন। এ সময় ইনসপেক্টর গোলাম মোস্তফা হেলা তাকে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।