প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম |

২০০১ সালে নির্যাতনের শিকার হয়ে এক কাপড়ে রাতের আঁধারে দেশ ছেড়েছিলাম। ওরা ঘেরপাতাড়ি ঘরের মালামাল সবকিছু লুটপাট করে নেয়। এমনকি পালিত শুকরটিও নিতে ভুল করেনি। পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলার চটেরহাট নোঙ্গরখানায় আশ্রয় নিয়েছিলাম দুদিন। তৎকালিন বিবিসি খবরে স্বাক্ষাৎকারে নির্যাতনের কথা বলেছি।
স্ত্রী একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন। ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে সন্তানকে নিয়ে ভারতে চলে যেতে হয়েছে। ২০ বছর পরে মাটির টানে আবার ফিরে এসেছি জন্মস্থানে। প্রভাবশালীদের লোলুপ দৃষ্টি, ভিটেমাটি জমিজমা টুকু আবারও দখলে নিতে চায়। আদালতের নিশেধাজ্ঞাও মানছে না ওরা, এ নির্যাতনের শেষ কোথায়? এ কথাগুলো বললেন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বৃদ্ধ নির্মল কুমার মজুমদার।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, মৃত রাম চরণ মজুমদারের ছেলে নির্মল কুমার মজুমদার নিজ নামীয় ক্রয় সূত্রে ৩ বিঘা ৮ কাঠা জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছেন। পরে এ জমির মধ্যে থেকে দুই ভাগে দুটি মৎস্য ঘের করে। চুক্তিভিত্তিক কালাম শেখ ও মতি শেখের কাছে বছর চুক্তিতে নগদ টাকায় লিজ দেন নির্মল। হঠাৎ করে নির্মল মজুমদারের ওই জমিতে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী ভাইজোড়া গ্রামের প্রভাবশালী মোতালেব শেখ ও তার লোকজন মাটি কেটে ভেড়ি দেন। নির্মল মজুমদারের লোক কালাম শেখকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী মোতালেব শেখ ওই জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্মল মজুমদারের দেওয়া মৎস্য ঘের মালিক কালাম শেখকে জমি ছেড়ে দেওয়ার একের পর এক চাপ প্রয়োগ করছেন। জমি থেকে উঠে যেতে বলে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এ নিয়ে কালামের পরিবার রয়েছে আতংকে।
এ ঘটনায় নির্মল মজুমদার বাদি হয়ে মোতালবে শেখসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবরও অভিযোগ দিয়েছেন।
এ সর্ম্পকে থানা অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান বলেন, নির্মল মজুমদারের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মোতালেব শেখ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।