প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩, ১১:২৪ পিএম |

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভগ্নিপতির ছোড়া পেট্রোলের আগুনে অগ্নিদগ্ধ আব্দুল কাদের গাজী (৩০) চার দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে আশংকাজনক অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আব্দুল কাদেরের স্ত্রী শারমিন (২৫) ও শিশু কন্যা ফাতেমা খাতুন (৪)।
গত ২৮ মে দিবাগত রাতে বোন সুফিয়া খাতুনের সাথে বিরোধের জের ধরে ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন শ্যালক আব্দুল কাদেরে ঘরে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আব্দুল কাদের, তার স্ত্রী শারমিন ও শিশু কন্যা ফাতেমা ঝলসে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘরের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেলে ও পরে আব্দুল কাদেরের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে তাদের ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কাদের সকালে মারা যান।
অভিযুক্ত ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন (৩২) যশোর জেলার নারায়ণপুর পোড়াবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, আবুল কাদের গাজীর বোন সুফিয়া খাতুনের (২৬) সাথে ভগ্নিপতি সবুজ হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় আব্দুল কাদের তার বোনের পক্ষ নেয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয় সবুজ। এরই জের ধরে গত ২৮ মে দিবাগত রাতে সবুজ চন্দনপুর (কাতপুর) গ্রামের হান্নান বিহারীর পুত্র সোহাগ হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নেয়। ওই রাতে সোহাগের সহযোগিতায় নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা আব্দুল কাদেরের ঘরে মধ্যে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন জ¦ালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সবুজ। এ ঘটনায় আব্দুল কাদেরে বোন সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে সবুজ ও সোহাগের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মামলা করেন। এ মামলার দুই নাম্বার আসামি সোহাগ হোসেনকে ওই দিনই আটক করে পুলিশ।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আগুনে দগ্ধ আব্দুল কাদের আজ সকালে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে এ মামলার একজন আসামিকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিকেও আটকের চেষ্টা চলছে।