প্রকাশ: শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩, ৪:৪৯ পিএম আপডেট: ০২.০৬.২০২৩ ৬:৩৯ পিএম |

যশোরের চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে সকাল সাড়ে দশটায় দোকানের সামনে ইজিবাইক রাখা নিয়ে প্রথমে বাগবিতন্ডা, পরে দোকানীকে মারপিট এবং এক পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
থানা পুলিশের দুটি টিম গিয়ে ঘটনার সমাধানসহ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে। এদিন যশোর পুলিশের সদস্য কনস্টেবল আবু বক্করের ভাই ইজিবাইকযোগে চাল নিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড জমির স্টোরের সামনে ১৫- ২০ মিনিট ইজিবাইকটি পার্কিং করেন। দোকানে আসা মাল উঠানামা করতে সমস্যা হওয়ায় দোকানী জমির উদ্দিন ইজিবাইকটি সরাতে বলেন। এসময় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন কনস্টেবল আবু বক্করের ভাই। দোকানীর সাথে তার হাতাহাতি হয়। এরপর তিনি তার ভাই কনস্টেবল আবু বক্করকে ফোন দেন। পুলিশ সদস্য আবুবক্কর এসে কোন কথা না শুনেই বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন দোকানী জমির উদ্দিনকে। দোকানের মালামাল রাস্তায় ফেলে দেন। ঘটনাটি দেখে স্থানীয় জনতা ক্ষেপে ওঠে এবং অবরোধ্য করে ফেলে কনস্টেবল আবু বক্কর ও তার ভাইকে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই সালাউদ্দিন এবং এসআই মিহির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মীমাংসা করে কনস্টেবল আবুবক্কর ও তার ভাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

স্থানীয় দোকানে স্বপন ও স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম রাসেল জানান তুচ্চ ঘটনায় পুলিশ সদস্য এসে দোকানে জমির উদ্দিনের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। যা তারাসহ অনেক লোক দেখেছে। এখানে প্রথমে জমির উদ্দিন একটু ভুল করলেও পরে কনস্টেবল আবুবক্কর জঘন্য অপরাধ করেছেন। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে দোকানীকে মারপিট করেছেন। তিনি তার ভাইয়ের ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে গালিগালাজ করে মারপিট করেছেন। যখম করেছেন দোকানদার জমির উদ্দিনকে।
এ ব্যাপারে দোকানদার জমির উদ্দিন জানান, সকালে এক দফা মারপিট করে গেছে ওই পুলিশ সদস্য। এরপর দুপুর একটায় এসে সালাউদ্দিন তাকে শাসিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়বাড়ি না করতে বলে গেছেন। বলে গেছেন পুলিশের সাথে লাগতে এসো না। উপরের নির্দেশনা আছে চুপচাপ থাকো।
এ ঘটনায় এসআই সালাউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান ঘটনা মীমাংস হয়ে গেছে। দোকানী জমির উদ্দিন আগে মারধর করেছে পুলিশের ভাইকে। পরে পুলিশ সদস্য ও বক্কর দোকানীকে মারপিট করেছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা হলে স্থানীয়রা উভয়পক্ষকে বসিয়ে রেখে থানায় ফোন করলে তিনি গিয়ে মিটিয়ে দিয়েছেন। এখন আর কোন সমস্যা নেই
এদিকে দুপুর ১: ৪৫ মিনিটে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্য ও দোকানীর মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে যা তিনি তদন্ত করছেন এবং ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।