প্রকাশ: শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩, ১২:০১ পিএম |

তিনটি ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উড়িষ্যায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ২৯০ জনের মরদেহ ও অন্তত ৯০০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, বিগত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে ভারতে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতি ট্রেন দুর্ঘটনা। উড়িষ্যা ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সুধাংশু সারঙ্গি বলেছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। দুর্ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন দুপুর সোয়া ৩টা নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে উড়িষ্যার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি।

স্থানীয় সূত্র বলছে, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেসই তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে থেকে চলতে থাকা একটি মালগাড়ির পেছনে। আঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়। ২৩টি বগির মধ্যে ১৫টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পাশের ডাউন লাইনে ও নর্দমার মধ্যে গিয়ে পড়ে। তখন পাশের সেই লাইন দিয়ে আসছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত যেসব বগি ডাউন লাইনের ওপর পড়েছিল, সেগুলোতে গিয়ে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতে হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

উড়িষ্যার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা টুইটারে বলেছেন, দুই শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স ও ১০০’র বেশি চিকিৎসককে দুর্ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে ৮০ জনের বেশি চিকিৎসক ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাটি হয়েছিল ১৯৮১ সালে। ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়ে বিহারের একটি যাত্রীবাহী ট্রেন নদীতে পড়ে গিয়েছিল সেবার। এতে ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন।