
বাংলাদেশ ও জাপানের অংশীদারিত্ব অনেক পুরনো উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তারা (জাপান) দেখতে চায়, সরকার বদল হলেও এটা যেন অব্যাহত থাকে। স্বাভাবিকভাবেই তারা এটা দেখতে চাইবে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, মানবাধিকার এসব নিয়ে আজ সবার উদ্বেগ। স্বাভাবিকভাবে তাদেরও উদ্বেগ আছে। তারা জানতে চায়, কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে। এটাই তারা বোঝার চেষ্টা করছেন।
রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এর আগে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়।
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত কিছুদিন আগে এখানে নতুন এসেছেন। তিনি সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছেন। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ জাপানের বন্ধুত্ব ও পার্টনারশিপ অনেক পুরনো। বাংলাদেশের সঙ্গে যাদের পার্টনারশিপ তার মধ্যে জাপান অন্যতম।
জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে যা হচ্ছে তাই বলেছি। সেগুলো বলা যাবে না।
এই প্রশ্নের পর সাংবাদিকদের আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন, নির্বাচন, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, স্বাভাবিকভাবে এসব নিয়ে উদ্বেগ সারা বিশ্ববাসীর আছে, দেশের মানুষের আছে, জাপানেরও থাকার কথা। তারা এসব জানতে চাচ্ছে। আগামী দিনের বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, এটা তারা জানতে চায়। শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর, এ বিষয়ে জাপান কোনো ভূমিকা নেবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সমস্ত গণতন্ত্রকমী দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে। একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশে যাতে হয়, সে জন্য সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
রোববার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বিএনপির এই প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন জাপান দূতাবাসে প্রথম রাজনৈতিক সচিব মিস ইগাই। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।