প্রকাশ: রোববার, ৪ জুন, ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদে মহিলা পরিষদের উদ্যোগে রোববার প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য হাবিবা শেফা। আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ^াস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, উলাসী সৃজনী সংঘের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আজিজুল হক মনি, শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান বুলু, সিনিয়র সাংবাদিক ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, টিআইবি যশোরের সভাপতি অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, উদীচী সহসাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর গুপ্ত। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা পরিষদের কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যৌন হয়রানি একটি ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের কাছেও নারীরা নিরাপদ নয়। সেখানেও নারীকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। নারীরা নিজেদের যোগ্যতায় শীর্ষ স্থান অধিকার করে নেওয়ায় পুরুষের রোষানলে পড়ছে। তাই নারীদের দাবিয়ে রাখতে নির্যাতন করা হচ্ছে। মানববন্ধন থেকে বক্তারা অপরাধী শিক্ষক প্রফেসর ড.এনামূল হককে বিচারের আওতায় এনে তাকে চাকরিচ্যূত করে অর্থনৈতিক সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানান। যশোরে মহিলা পরিষদের চিঠির প্রেক্ষিতে ‘যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন বন্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে অভিযোগ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো যশোর কালেক্টরেট স্কুল, এম.এস.টি.পি স্কুল এন্ড কলেজ, ইসলামিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সম্মিলনী ইন্সটিটিউশন, আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল একাডেমি, যশোর বালিকা বিদ্যালয়, অক্ষর শিশু শিক্ষালয় ও আঞ্জুমান আরা একাডেমি। মানববন্ধন পরিচালনা করেন মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক উম্মে মাকসুদা মাসু।