প্রকাশ: রোববার, ৪ জুন, ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম |

খুলনা জেলা পরিষদের ঘর বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও ফাঁকা স্ট্যাম্প এবং চেকে স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার খুলনার ডুমুরিয়ার আরাজি ডুমুরিয়া গ্রামের লালু শেখের ছেলে আব্দুল বারিক বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শেখ তাজ হোসেন তাজু।
আসামিরা হলেন, যশোরের কেশবপুরের ভেরচি গ্রামের ফরহাদ হোসেন বাবু, খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগর সদরের দীপ্তিমান বাপ্পী রায়, চুকনগর গ্রামের মাহাবুব মোল্লা, শ.ম. কামাল হোসেন, চাকুন্দিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল, আব্দুল কাদের।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল বারিক ক্যান্সারের রোগী ও কাঠ ব্যবসায়ী। আসামি ফরহাদ হোসেন বাবু খুলনা জেলা পরিষদের চুকনগর বাজারের ৭৫ টি ঘরের ঠিকাদার। গত ২ ফেব্রুয়ারি আব্দুর বারিক তার শ্বশুর বাড়ি এসে পূর্বের কথাবার্তা অনুযায়ী চুকনগর বাজারে একটি ঘর বরাদ্দের জন্য ফরহাদ হোসেন বাবুকে ১০ লাখ টাকা দেন। এরপর ফরহাদ হোসেন তাকে ঘর না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।
গত ২ জুন কেশবপুর থানার এসআই রবিউল ইসলাম বাদী ও আসামিদের নিয়ে কেশবপুরের কমলাপুর গ্রামের বিউটি বেগমের বাড়িতে বসেন। ওইসময় আসামিরা এসআই রবিউল ইসলামকে দিয়ে আব্দুল বারিককে আটকে রেখে তার শাশুড়ি ময়না বেগমকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। এরপর আসামিরা দু’টি ফাঁকা চেক ও পাঁচটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।