প্রকাশ: সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩, ১:১১ পিএম |

সাধারণত সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বাইরে নারীদের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা না গেলেও এবছর খুসিক নির্বাচনে দুজন নারী প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ছয়জন নারী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে চারজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ওই দুই নারী প্রার্থী হলেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদা বেগম ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোজিনা শেখ আয়শা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড রয়েছে ১০টি। সাধারণ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন আটজন করে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রোজিনা শেখ আয়শা অবিবাহিত ও স্বশিক্ষিত। ঘরোয়া ব্যবসা থেকে বছরে তিনি আয় করেন দেড় লাখ টাকা। এছাড়া একতলা একটি বাড়ি রয়েছে তার। আর নগদ টাকা রয়েছে ৩০ হাজার। এর বাইরে হলফনামায় তিনি আর কোনো সম্পদের বিবরণ দেননি। রোজিনা শেখ নির্বাচনে খরচ করতে চান এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে তিনি নিজের ব্যবসা থেকে আয় করা ২০ হাজার টাকা খরচ করবেন। ভাইয়ের কাছ থেকে ধার নেবেন ২৫ হাজার টাকা। মামার কাছ থেকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান পাবেন ২৫ হাজার টাকা। আত্মীয়স্বজনের বাইরে অন্য ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নেবেন ২০ হাজার ও দান পাবেন ৩০ হাজার টাকা।
নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে রোজিনা শেখ আয়শা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারী। তিনি যদি পুরো দেশ চালাতে পারেন, তাহলে আমি কেন একটি ওয়ার্ড চালাতে পারব না। সংরক্ষিত ওয়ার্ড তিনটি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়। সেখানে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এ কারণে আমি সাধারণ ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছি।’
তিনি জানান, এলাকার সাধারণ মানুষ তার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন। সকলের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক উৎসাহ ও সাড়া পাচ্ছেন। পুরুষদের পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান রোজিনা শেখ।
৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদা গৃহিণী, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। তার নগদ টাকা রয়েছে ৫০ হাজার আর ব্যাংকে রয়েছে ১০ হাজার। তিনি নির্বাচনে খরচ করতে চান দুই লাখ টাকা। এর মধ্যে নিজের ব্যবসা থেকে খরচ করবেন ১০ হাজার টাকা, এক ছেলে ধার হিসেবে দেবেন ৫ হাজার টাকা, আর এক ছেলে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে দান করবেন এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে ফরিদা বেগম সম্পর্কে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ফরিদা বেগম জানান, ‘বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের কারণেই আজ নারীরা অবহেলিত, আর সে কারণেই নারীরা কম গুরুত্ব পচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেই সাধারণ কাউন্সিলর পদে অন্য পুরুষ প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’