প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩, ১২:০৯ পিএম |

লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘লোডশেডিং বেড়ে গেছে। আমাদের গ্যাস, কয়লা ও তেল দিতে সময় লাগছে। এ কারণে আমরা দেখছি প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াটের মত লোডশেড হচ্ছে। এটা থেকে আমরা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে পারব। আমি জানি, এখন লোডশেডিংটা অসহনীয় হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে চেষ্টা করছি যে, কত দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়।’ জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অর্ধেক সক্ষমতায় চলছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিস্থিতি ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে’ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে তিনি আশা করছেন। দেশে এখন দৈনিক গড়ে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি চলছে; এ পরিস্থিতিতে রোববার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রতিমন্ত্রী।
সংকটের কারণ হিসেবে জ্বালানি ঘাটতির কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে। বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে। লিকুইড ফুয়েল বা তরল জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রায় অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে। এসব কারণে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। পায়রা ও রামপালে কয়লা সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বিদ্যুৎকেন্দ্র রেডি করে রেখেছি। জ্বালানিগুলো তো সময় মত আসতে হবে। সেটা যদি দেরি হয় এবং এটার পেছনের যে বিষয়টা সেটাও যদি দেরি হয়, তাহলে তো বিষয়টা আমাদের হাতে থাকে না। অনেকে হয়ত বলছেন যে আমরা কেন উৎপাদনে যাচ্ছি না। আমরা তে উৎপাদনের জন্য সদা প্রস্তুত আছি। আমি মনে করি এটা সমন্বয় হয়ে কাজ করা দরকার। সেটা করতে গিয়ে যদি কোনো একটা জায়গায় বাধাগ্রস্ত হয়, সেটা শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানির জোগান দেওয়ার একটা ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এবারও তাই হয়েছে। আমরা বহু আগ থেকে বলে আসছিলাম। আমাদের এই জ্বালানির জোগানটা কিন্তু দিতে হবে।’
আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, কয়লা সংকটের বিষয়টি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনেক আগে থেকেইতো পরিষ্কার ছিলো। আবার জ্যৈষ্ঠ মাসে এদেশে তীব্র গরম পরে এটাওতো অনেক আগেই পরিষ্কার। তাহলে অনেক আগে থেকেই এই দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি কেনো প্রতিমন্ত্রীর নেই বা থাকেনা এটাই আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।