প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩, ৪:১৯ পিএম |

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নে একটি সড়ক সংস্কার কাজে রাতের আঁধারে নিম্ন মানের ইট-খোয়া ব্যবহার করে কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মাটিকাটা ভাটা জনকল্যাণ সংঘ মোড় হতে ২ নম্বর রেলগেট মোড় পর্যন্ত ৬৪০ মিটার রাস্তার ২২ লাখ টাকা মূল্যে কাজ করছেন আব্দুল হামিদ নামের এক ঠিকাদার।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বুধবার দিবাগত রাত প্রায় ১২ টারদিকে নুরুল ইসলামের পূর্ব নির্দেশে তার ভাই রেজাউল ইসলাম, দুরুল হোদা ও সিরুল হোদা কাজের ঠিকাদারের সাথে পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে ভাটা থেকে অতি নিম্নমানের খোয়া ও আধলা ইট রাস্তায় ফেলে দেয়। স্থানীয়রা রাতেই এর প্রতিবাদ করে।
বৃহস্পতিবার (৮জুন) সকালে এলাকাবাসী রাস্তার উপর আধলা ইট দেখে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে জোরালো প্রতিবাদ করে। এছাড়াও রাস্তায় আধলা ইট থাকায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। এসব বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে অবগত করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগের ভিত্তিতে সিরুল হোদার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটিতে পানি জমে যাওয়ায় ইটগুলো ফেলা হয়েছে। রাস্তার কাজে ঠিকাদার আছে সেই কাজ করবে আপনার নিজে এমন আগ্রহ কেনো? জবাবে বলেন, সমস্যা হলে আমি প্রয়োজনে ইটগুলো উঠিয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধান করে নিবো বলে জানান। ঠিকাদার আপনার পূর্ব পরিচিত তাকে বলেই একাজ করেছেন কিনা জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান সুরুল হোদা।
কাজের ঠিকাদার আব্দুল হামিদ জানান, ওই রাস্তার কাজে এখনো খোয়া ফেলার উপযোগী হয়নি আরো কিছু কাজ করতে হবে। তবে কে বা কারা রাতের আঁধারে একাজ করেছে তা আমার জানা নেই বা চিনিও না। তবে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে বের করার চেষ্টা করছি বলে জানান।
মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহলে রানা বলেন, আমি বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে শুনেছি। কাজের জন্য ঢাকায় আছি। তবে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মুনসুর রহমানকে অবগত করেছি বলে জানান।
এবিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মুনসুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছিলো। ওই এলাকার কয়েকভাই মিলে এইকাজটি করেছিলো। সময় দেওয়া হলো তারা কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ইটগুলো তুলে ফেলবে বলে জানান।