প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩, ১০:১৫ পিএম |

যশোরে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারপিটের অভিযোগে শংকরপুরের আরিফুল ইসলাম আরিফকে আটক করেছে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। বুধবার গভীর রাতে সাত মামলার আসামি আরিফের শংকরপুরের অফিস থেকে ভিকটিম শওকত হায়াত মামুনকে উদ্ধার ও আরিফকে আটক করা হয়। আরিফ ওই এলাকার সৈয়দ মনিরুল ইসলামের ছেলে। এ সময় আরিফের সহযোগী বারান্দিপাড়ার সনি পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী শওকত হাসান মামুনের জামাই ইমরান খান বাদী হয়ে আরিফ, সনিসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় মামুন উল্লেখ করেন, তার শ্বশুর মাগুরার মোহাম্মদপুরের শওকত হায়াত মামুন যশোরে দীর্ঘ তিনবছর ছিলেন। সেসময় আরিফের সাথে পরিচয় হয়। এরমাঝে তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন শুরু হয়। ব্যবসায়িক কারণে সাড়ে চারলাখ টাকা আরিফের কাছ থেকে নেন মামুন। গত ৬ জুন সকালে মাগুরা থেকে ব্যবসায়ী কাজে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মামুন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। পরে জামায় র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন। পরবর্তিতে র্যাবের বিশেষ একটি টিম অভিযান চালিয়ে বুধবার আরিফের অফিস থেকে মামুনকে উদ্ধার করা হয়। একই সাথে আটক করা হয় আরিফকে। পরে মামুন জানায়, ওইদিন দুপুর ১২ টায় দড়াটানা থেকে আরিফ, সনিসহ অন্য আসামিরা তাকে আটকে রেখে সাড়ে চারলাখ টাকা দিতে বলে। এ টাকা পরে দেয়ার কথা বললেই মামুনকে আসামিরা শংকরপুর আরিফের অফিসে নিয়ে আটকে রেখে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায় হত্যার হুমকিও দেয়। পরে র্যাব যেয়ে তাকে উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহফুজুল হক বলেন, আরিফ চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।