প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম আপডেট: ০৮.০৬.২০২৩ ১১:৪৪ পিএম |

যশোরে চাকরি দেয়ার নামে সাড়ে আট লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের রাশিদা বেগম এ মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন সলুয়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি এবং সলুয়া বাজার এলাকার আব্দুল মান্নান, একই কলেজের প্রিন্সিপ্যাল এবং মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের সন্ধি মন্ডল ও যশোর সদর উপজেলার দোগাছিয়া গ্রামের ছেলে এবং গাজীপুর পুলিশের ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা হেলা।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশ যশোরকে আদেশ দিয়েছেন।
বাদী মামলায় বলেছেন, তার বড় ছেলে নাজমুল হোসেন অনার্স পাস করে বেকার অবস্থায় বাড়িতে ছিলেন। নাজমুল হোসেনের দুর সম্পর্কের মামা হয় আসামি গোলাম মোস্তফা হেলা। সে কারণে নাজমুলকে চৌগাছার সলুয়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজে প্রধান হিসাব রক্ষক পদে একটি চাকরি দিতে পারবেন বলে জানানো হয়। তবে ওই চাকরি দিতে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। এক পর্যায় দেনদরবার করে ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন বাদী। সে মোতাবেক ২০১৯ সালের পহেলা মে সকাল ১০টার দিকে আসামি গোলাম মোস্তফা হেলা বাদীর বাড়িতে যান। বিভিন্ন সময় সে টাকা নেয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর সলুয়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজে প্রধান হিসাব রক্ষক পদে চাকরির নিয়োগপত্র দেয়া হয় নাজমুলকে। এরপরে নাজমুল সেখানে যোগদান করেন। কিন্তু বেতন হয়না। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন কলেজটি ডিগ্রি এমপিওভুক্তি নয়। যে কারণে সেখানে উপাধ্যক্ষের হিসাব রক্ষক ওই কলেজে নিয়োগদানের কোন সুযোগ নেই। আর নিয়োগ দিলেও তার বেতন হবেনা। ফলে কয়েকমাস ধরে নাজমুল আসামিদের কাছে ধর্না দিয়েও টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হন। গত ৫ জুন বাড়িতে ডেকে এনে আসামিদের কাছে আট লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরৎ চান বাদী। এসময় টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করায় আদালতে এই মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১ জুন চৌগাছার পুড়াহুদা গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে সাত লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা হেলার বিরুদ্ধে আদালতে আরও একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে।