প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩, ১:৫৪ পিএম |

ভারতের প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার হেমন্ত কানিতকরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন হেমন্ত কানিতকর নামে পরিচিত হেমন্ত কানিদকর। তিনি ৯ জুন, ২০১৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কানিতকর ৮ ডিসেম্বর, ১৯৪২ সালে ভারতের অমরাবতী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৬৩ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মহারাষ্ট্রের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। পুনা ক্লাবে অনুষ্ঠিত অভিষেক খেলায় সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে মহারাষ্ট্রের পক্ষে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত উইকেট-রক্ষণের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। প্রায় দেড় দশক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়ে ৫,০০৭ রান তুলেন ৪২.৭৯ গড়ে। এ রান সংগ্রহকালে ১৩ সেঞ্চুরি করেছিলেন। পাশাপাশি ৮৭ ডিসমিসালে অংশ নেন। কিন্তু, ফারুক ইঞ্জিনিয়ার, বুধি কুন্দরন ও ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের ন্যায় উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যানদের দাপটে ভারত দলের নিয়মিত সদস্য হতে পারেননি। রঞ্জি ট্রফিতে ৪৩.৭৫ গড়ে ৩,৬৩২ রান করেন। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে রাজস্থানের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ২৫০ করেন। মহারাষ্ট্র দলের অধিনায়কেরও দায়িত্বে ছিলেন। রঞ্জি ট্রফি প্রতিযোগিতায় দুইবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। তন্মধ্যে ১৯৭০-৭১ মৌসুমে মহারাষ্ট্র ফাইনালে উঠলেও বোম্বের কাছে পরাজিত হয়।
১৯৭৩ সালে বর্ষসেরা ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। লেট কাটের পাশাপাশি এক্সট্রা কভার দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে পারদর্শী ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়ায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার জন্য তিনি মনোনীত হন। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে কেবলমাত্র দু’টি টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান তিনি। ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত অভিষেক টেস্টে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। অ্যান্ডি রবার্টসের ন্যায় বোলারদের পেস বোলিংয়ের তোপ মোকাবেলা করে নিজস্ব সর্বোচ্চ ৬৫ তুলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৮ রান। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত পরের টেস্টে তিনি ৮ ও ২০ রান তোলেন। এরফলে দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক উপেক্ষিত হন।
১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর কানিদকর মহারাষ্ট্র দলের কোচ ও দল নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন। অবসর পরবর্তীকালে বিসিসিআইয়ের সর্ব-ভারতীয় জুনিয়র দল নির্বাচক কমিটিতে ১৯৯২-৯৩ ও ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে সদস্য ছিলেন।