প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩, ২:১৯ পিএম |

পাবনার ঈশ^রদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে পার্কের ব্যবসার আড়ালে অশ্লীল ও অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (০৯ জুন) সকাল ১১টায় পাবনা-ঈশ^রদী মহাসড়কের পাশে ভবানীপুর গ্রামে এ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী-পুরুষ ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। ঝাড়–, জুতা প্রদর্শণ করে অবৈধ ও অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন রতন দুই বছর আগে ভবানীপুর গ্রামে জে এন্ড জে নামের একটি বিনোদন পার্ক স্থাপন করেন। কিছুদিন পর তিনি সেখানে মাদক ব্যবসা ও নারী নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা শুরু করেছেন। সম্প্রতি তিনি রূপপুরের রাশিয়ান নাগরকিদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করছেন। দিনে রাতে এসব অশ্লীল ও অসামাজিক কাজে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আকুব্বর হোসেন ও আনিসুর রহমান বলেন, বিনোদন কেন্দ্রের নামে রতন সাহেব দেহ ও মাদক ব্যবসা করছেন। এ কারণে এলাকার পরিবেশ ও যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে তাকে বারবার জানানো হলেও তিনি কারো কথা শুনছেন না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় প্রতিবাদে

নেমেছি। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। তারা অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ না করে উল্টো স্থানীয়দের হয়রানী করছে।
মানববন্ধনে অংশ স্থানীয় গৃহবধূ আসমা খাতুন, সাবিনা খাতুন বলেন, পার্কের নামে যা হচ্ছে তা মুখে বলতেও লজ্জা করছে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা শান্তিপূর্ন পরিবেশে চলাচল করতে পারছে না। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গা থেকে দশ পনেরজন করে নারী নিয়ে এসে ব্যবসা করানো হচ্ছে। আমরা অতি দ্রুত পার্কের নামে অশ্লীলতা ও অসামাজিক কাজ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ঈশ^রদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পার্ক হলো সাধারণ মানুষের বিনোদনের জায়গা। কিন্তু সেখানে অবৈধ, অশ্লীল, অসামাজিক কাজ মেনে নেয়া হবে না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন রতনের পার্কে গিয়ে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে পার্কের প্রধান ফটক বন্ধ পাওয়া যায়। মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।