| শিরোনাম |
❒ প্লট দুর্নীতির মামলা:
❒ প্লট দুর্নীতির মামলায় এবার সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ কাঠা জমি নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে খায়রুল হক আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে হাজতখানায় রাখা হয় এবং ১০টা ৩২ মিনিটে শুনানির জন্য এজলাসে নেওয়া হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মোনাইম নবী শাহিন খায়রুল হকের জামিনের জন্য শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী হাফিজুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তার নির্দেশ দেন।
মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন গত ৬ আগস্ট। মামলায় খায়রুল হকসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন: রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ ও এস্টেট) আ.ই.ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভুইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, রাজধানীর নায়েম রোডে পৌনে ১৮ কাঠা জমির ওপর ৬ তলা পৈতৃক বাড়ি থাকা সত্ত্বেও সাবেক প্রধান বিচারপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ কাঠা প্লট নিজের নামে বরাদ্দ নেন। তিনি রাজউকের কর্মকর্তাদের সহায়তায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদসহ কিস্তি না দিয়ে বরাদ্দ গ্রহণ করেছেন। এতে সরকারের ক্ষতিসাধন ও ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৪০ টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই ধানমন্ডি থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জুলাই আন্দোলনের সময় যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। ৩০ জুলাই আদালত তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেন, যার মধ্যে দুর্নীতি ও জাল রায়ের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।