| শিরোনাম |
❒ ৬৭টি বিদ্যালয়ে ৬৬টি পদ শূন্য
❒ শিক্ষক সংকটে বিপর্যস্ত ঘোড়াঘাটের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ছবি: প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। উপজেলার ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে ২৬টি এবং সহকারী শিক্ষক পদে ৪০টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান — সব কিছুতেই চরম ব্যাঘাত ঘটছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়নে মোট ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ সামলাতে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। শিক্ষক সংকটের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সহকারী শিক্ষকরা নির্ধারিত ক্লাসের পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে দায়সারা পদ্ধতিতে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছেন।
এছাড়া অনুমোদিত ৩৪৬টি সহকারী শিক্ষক পদের মধ্যে ৪০টি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকার ওপর অতি চাপ তৈরি হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা ক্রমেই কোচিং নির্ভর হয়ে পড়ছে।
একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলিয়ে মোট ৬৬টি পদ শূন্য থাকায় তারা নিয়মিত ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তারা বলেন, আমরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে থাকি। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৫-৬ ঘন্টা ক্লাস নেই। পাশাপাশি ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, শিশু জরিপসহ নানা দাপ্তরিক কাজও করতে হয়। অনেক সময় অফিসে কাজ থাকলে ক্লাস নেয়া সম্ভব হয় না।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াকিল জানান, শূন্য পদ থাকার কারণে প্রধান শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় শূন্য পদের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শূন্যপদের বিপরীতে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। নতুন নিয়োগ হলে সংকট অনেকটা কমে আসবে।