gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ৩০ কার্তিক ১৪৩২
gramerkagoj

❒ পুতিনের আহ্বান

মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য বাড়াতে উদ্যোগ নিন
প্রকাশ : শুক্রবার, ১০ অক্টোবর , ২০২৫, ০৫:১৫:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2025-10-10_68e8ea9341b66.jpg

❒ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: ফাইল ফটো, রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের নেতাদের রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই আহ্বান এমন এক সময়ে এসেছে যখন চীনও মধ্য এশিয়ায় তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব দ্রুত বাড়াচ্ছে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন জানান, গত বছর কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং তাজিকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার মোট বাণিজ্য প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। তিনি এটিকে ‘ভালো ফলাফল’ উল্লেখ করলেও বললেন, এটি বেলারুশের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের তুলনায় অনেক কম। উল্লেখযোগ্য যে, বেলারুশের জনসংখ্যা মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশের মোট জনসংখ্যার এক ছোট অংশ মাত্র।

পুতিন আরও বলেন, বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য এখনও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

১৯৯১ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হিসেবে এই পাঁচটি দেশ মস্কোর অধীনে শাসিত ছিল। যদিও স্বাধীনতার পর থেকে দেশগুলো নিজেদের স্বতন্ত্র নীতি গ্রহণ করেছে, রাশিয়া এখনও এই অঞ্চলটিকে কৌশলগত প্রভাব বলয়ের অংশ হিসেবে দেখে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উপস্থিতি রাশিয়ার প্রভাব কিছুটা সীমিত করেছে।

লাখ লাখ মধ্য এশিয়ার অভিবাসী রাশিয়ায় কাজ করছেন, যা দেশটির শ্রম ঘাটতি পূরণ করছে এবং তাদের নিজ দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিকে সচল রাখছে। তবে গত বছরের একটি হামলার পর, যেখানে নিহতের বেশিরভাগই তাজিক নাগরিক ছিলেন, রাশিয়া অভিবাসী শ্রমিকদের উপর কঠোরতা বৃদ্ধি করেছে।

সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় মধ্য এশিয়ার দেশগুলো রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছে। নেতারা নতুন পরিবহন ও লজিস্টিক করিডর গঠনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবিরোধী, অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, মাদকবিরোধী সহযোগিতা এবং বাণিজ্যিক লেনদেন ব্যবস্থার উন্নয়নে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়া মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বজায় রাখতে চেয়েছে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। বিশেষত বাণিজ্য, অবকাঠামো বিনিয়োগ এবং নতুন কৌশলগত চুক্তির মাধ্যমে চীন মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করছে। এই প্রেক্ষাপটে পুতিনের আহ্বানকে রাশিয়ার ঐতিহাসিক প্রভাব পুনর্নির্মাণ এবং চীনের প্রভাব মোকাবেলার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আরও খবর

🔝