Published : Sunday, 17 January, 2021 at 8:09 PM, Update: 17.01.2021 9:47:15 PM, Count : 291

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) যশোর শাখার সভাপতি ডাক্তার একেএম কামরুল ইসলাম বেনু সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করায় তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুর ১২ টায় মেডিকেল কলেজ সভাকক্ষে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংগঠনের সহসভাপতি ডাক্তার নাসিম রেজার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহিদুর রহমান।
সাংগঠনিক সম্পাদক ডাক্তার তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায়, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন ও বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক এমএ বাশার।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান, গিয়াস উদ্দীন ও এমএ শামসুল আরেফিন, হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক শ্যামল কৃষ্ণ সাহা, বিপিএমপিএ’র যশোর শাখার সভাপতি আবুল কাশেম, মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ইলাবতি মন্ডল, বিএমএ’র বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক এএইচএম আব্দুর রউফ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হিমাদ্রি শেখর সরকার, সদস্য অজয় কুমার সরকার, মীর আবু মাউদ, কোঅপ্ট সদস্য আশিকুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক ইমদাদুল হক রাজু, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান রিজভী, মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপাঞ্জন সাহা ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মাশরাফি হাসান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ আলী, ডাক্তার আমিনুর রহমান ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ।
ডাক্তার একেএম কামরুল ইসলাম বেনু ১৯৭৬ সালে যশোর সম্মিলনি ইনস্টিটিউশন থেকে এসএসসি ও ১৯৭৮ সালে সরকারি এমএম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সফলতার সাথে সেখান থেকে ১৯৮৫ সালে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৮৬ সালে একই মেডিকেল কলেজে ইনসার্ভিস ট্রেনিংয়ে যোগ দেন। ১৯৮৮ সালে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়ে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা, এমনকি দুর্গম এলাকায় কর্মরত থেকে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন ডাক্তার বেনু।
সরকারি চাকরি জীবনের ২৫ বছর পার হওয়ার পর মেডিকেল অফিসার পদ থেকে সর্ব প্রথম ২০১১ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পদোন্নতি পেয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদে যোগদান করেন। ওই পদে তিনি টানা আড়াই বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৩ জুন তিনি যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ছিলেন। ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তাকে সহকারী পরিচালক হিসেবে পদন্নোতি দেয়। তিনি ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগে যোগদান করেন। মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর তিনি যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংযুক্তিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। হাসপাতালে সুষ্ঠুভাবে রোগী সেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চাকরিতে যোগদানের জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার বিবেচনায় সরকার ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে উপপরিচালক পদে পদোন্নতি দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পদায়ন করে। এর মাত্র ২৩ দিনের ব্যবধানে অর্থাৎ ওই বছরের ৪ মার্চ তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক পদে পদায়ন করা হয়। ৬ মার্চ তিনি যোগদান করেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের উপপরিচালক পদে যোগদান করেন। সর্বশেষ, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক পদ থেকে সরকারি চাকরির ইতি টানলেন।