বাঘারপাড়ার চাঞ্চল্যকর কিশোর শিমুল বিশ্বাস হত্যা রহস্য উন্মোচিত করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের এক দিন পরেই হত্যাকান্ড ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ১৯ জানুয়ারি প্রেস ব্রিফিং করেছেন পুলিশ সুপার।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, ১৮ জানুয়ারি গভীর রাতে উপজেলার দোগাছি গ্রামে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলেও তথ্য পেয়েছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে বাঘারপাড়া উপজেলার দোগাছি গ্রামের সৌমিত্র গোলদার, তার ভাই অমিত গোলদার, লক্ষিকান্ত গোলদার, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ও কৃষ্ণ বিশ্বাস।

গত ১৭ জানুয়ারি বাঘারপাড়া উপজেলার রঘুরামপুর বেজিগাড়া মাঠের খাল থেকে শিমুল বিশ্বাসের লাশ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় তার বাবা মুকুল বিশ্বাস হত্যার অভিযোগে দুইজনকে আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তারা শিমুল বিশ্বাসের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে তার প্রতিবেশী এজাহার নামীয় আসামি সৌমিত্র গোলদার ও অমিত গোলদারকে আটক করা হয়। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে। একইসাথে হত্যায় জড়িত আরো তিনজনের বিষয়ে তথ্য দেয়। এরপর পুলিশ লক্ষ্মিকান্ত গোলদার, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ও কৃষ্ণ বিশ্বাসকে আটক করে।

এদিকে, আটককৃতরা জানিয়েছেন, শিমুলকে নিয়ে তারা রঘুরামপুর মন্দিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। সৌমিত্র গোলদার একপর্যায়ে শিমুলকে গলাটিপে ধরে হত্যা করে। এসময় অন্যরা তাকে সহায়তা করে। এরপর লাশ গুম করার জন্য  রঘুরামপুর বেজিগাড়া মাঠের খালের মধ্যে ফেলে আসে।