Published : Wednesday, 20 January, 2021 at 10:24 PM, Count : 123

দুর্বৃত্তদের দেয়া কীটনাশকে ঝলসে গেছে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ১৬ কৃষকের স্বপ্ন। ১৯ জানুয়ারি কৃষকরা বীজতলায় গিয়ে দেখেন চারাগুলোর ঝলছে গেছে। এতে চারা রোপনে বিলম্বের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। এমনই খবর প্রকাশ পেয়েছে সংবাদ মাধ্যমে।
পোরশা উপজেলার ঘাটনগর ইউনিয়নের সোমনগর গ্রামের মাঠে ইরি-বোরো চারা রোপনের জন্য দুই একর জমিতে বীজতলা তৈরি করেছিলেন ১৬ চাষি। যেখানে প্রায় ৩০ মণ ধান দিয়ে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। কয়েকদিন আগে সুতলী, ধামানপুর, সোমনগর ও দেউপুরা গ্রামের ১৬ কৃষকের বীজতলায় কীটনাশক ছিটিয়ে দেয় দূর্বৃত্তরা। কৃষকরা বীজতলায় গিয়ে দেখেন চারাগুলোর ঝলছে গেছে। অনেক জায়গায় চারা পুড়ে ও শুকিয়ে গেছে। বীজতলার এমন অবস্থা দেখে চাষিদের মাথায় হাত। নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে আরও প্রায় একমাস সময় লাগবে। এতে জমিতে চারা রোপন পিছিয়ে পড়বেন বলে জানান। কৃষকরা জানিয়েছেন, বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করায় চারাগুলো ঝলসে গেছে। এগুলো রোপন করা আর সম্ভব হবে না। এতে জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ক্ষতিগ্রস্ত এক চাষি জানিয়েছেন, ১২ মণ ধান দিয়ে বীজতলা তৈরি করেছিলাম। যা দিয়ে প্রায় ৫০ বিঘা জমি রোপণের কথা ছিল। কয়েকদিন আগেও চারাগুলো সতেজ ছিল। কিন্তু দূর্বৃত্তরা বিষাক্ত কীটনাশক ছিটিয়ে সেগুলো নষ্ট করেছে। ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে জমিতে চারা রোপন করা হবে। কিন্তু দূর্বৃত্তরা কীটনাশক দিয়ে চারা নষ্ট করায় প্রায় দুইশ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করতে পারবেন না। ফলে কয়েক লাখ টাকা ক্ষতির শিকার হবেন।
দুই একর জমির চারা দিয়ে প্রায় দেড়শ বিঘা বা ২০ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা যেত। ওই ২০ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা না হলে কৃষি এবং কৃষকের যে ক্ষতি হবে তা অপূরণীয়। দূর্বৃত্তদের এমন নাশকতা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।