Published : Wednesday, 20 January, 2021 at 10:25 PM, Count : 217

গিরামের চাষাভুষো মানুস কিম্বা ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে লোন উটোতি গেলিই টের পায় এট্টা লোন করা কত ঝক্কির কাজ। পেত্তমেই বাড়ী কনে, কার সাতে আলে,কার ছাবাল, কি করো, কেন লোন নুবা, গিরান্টার কিডা, গিরান্টার কি করে, এর আগে সে বিটা গিরান্টার হয়েচে কিনা ইরাম আওয়াল আখের জাইনে গুইনে পইড়ে দেইকে দুনিয়ার চুতা পত্তর ধরায় দেবে। পাল্লি রক্তের গুরুপ আর ডিএনএ টেস ও করাতি কইতো। যে সব চুতা দেবে তা পূরণ কত্তিই লাইগে যাবে এক দেড় মাস। এর পর দিচ্চি দিবানে হচ্চে হবে নে কইরে আরো এক দেড় মাস। এর মদ্দি যদি ঈদ পুজো নতুন বছর আর বচরের শেষ বাইদে যায়, তালি আরো এক দেড় মাস। ইরাম ছল্লি বল্লি কইরে শেষ বেলায় কইয়ে দেবে পযযাপ্ত ব্যালান্স না থাকায় সংযোগ দিয়া সম্ভব হচ্চে না। আসচে বচর আবার চিস্টা করেন।
যাগের কপাল খুব ভালো কিম্বা তলশুড়া যুগযুগ থাকে তারা হয়ত ছোট অংকের লোন বাগায় নিতি পারেন। তেবে কিস্তি দিতি এট্টু উনিশ বিশ হলি কতা নেই। ভাব ইরাম পাল্লি ক্রস ফায়ারে দিতো। পাচ হাজার, দশ হাজার কিম্বা সব্বোচ্চ কুড়ি পচিশ হাজার টাকা কৃষি, তাতী কিম্বা ছোট ব্যবসার লোন নিয়ে সাট্টিফেট মামলা খায় নি ইরাম লোক এমন কোন গিরাম নেই যেকেনে খুজে পাওয়া যাবে না। সাট্টিফেট মামলা খাইয়ে গিরাম পুলিশিত্তে শুরু কইরে থানা পুলিশির দাবোড়োর উপর থাকতি হয় কত জনের। অথচ বড় বড় মুটা দাগের হাজার হাজার কোটি টাকা লোনের নামে লুপাট কইরে নেচে হাতে গুনা কয়ডা মানুস আর কয়ডা পোতিষ্টান। এগের বেলায় কোন নিয়ম নীতি লাগিনি। কোন গিরান্টারের বাপ দাদার চৌদ্দগুষ্টির বায়োডাটা লাগেনি। মচ্চি মুলামে যে যেম্মি পাইরেচে টাইনে নেচে দেশের টাকা। দেশের টাকা মানে নাই জনগনের টাকা। জনগনের টাকা যদি হয় তালি মুক্কু সুক্কু মানুষ হইয়েও মনে এট্টা পোশ্ন জাগে জনগনের টাকা জনগন চাতি গেলি পায় না বারোভুতি কিরাম কইরে পায়?
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভন্নর ড. সালেহউদ্দিন চাচা কইয়েচেন ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত না দিয়ার সংস্কিতি বড় ব্যবসায়ীগের মদ্দিই বেশি। আবার ব্যালেন্স শিটি খেলাপি ঋণ কম দেকাতি যাইয়েই ব্যাংকগুলো নিজিরাই ঢালাওভাবে বড় কিচু গিরাহকরে ঋণ পুনঃতফসিল সুবিদে দেচ্চে। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩