Published : Friday, 22 January, 2021 at 9:33 PM, Count : 142

ভোজন রসিক বাঙালির খাওয়া দাওয়ায় পিঠা এক ঐতিহ্য। গ্রামীণ জীবন অথবা হাজারো ব্যস্ততার নগর জীবন সবখানেই তাই পিঠার প্রচলন। নতুন চালে বানানো গুড়ো ও আর খেজুরের গুড়ের তৈরি ভাপা, পুলি, কুলি, পাকান, পাটিসাপটার হরেক রকম আয়োজন কে না ভালোবাসে। আর তাই করোনার এ সময়েও সেই চর্চা থেমে নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলে পিঠা খাওয়ার আয়োজন। অন্যদিকে, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সে আয়োজনে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমি যশোর আয়োজিত পিঠা উৎসবের সার্বিক চিত্র ছিল এমনই।
সংগঠন প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক রাজধানী যশোর তার ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। আর তাই করোনার এ সময়েও বড় পরিসরে না হলেও সফলভাবে পিঠা উৎসবের মতো একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এমন আয়োজন অব্যাহত রাখতে হবে। সুষ্ঠু ও সফল অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক পত্নী আকলিমা বেগম হীরা, শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি সুকুমার দাস ও জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, যুগ্ম সম্পাদক রওশন আরা রাসু, চঞ্চল কুমার সরকার, সদস্য সানোয়ার আলম খান দুলু, শহিদুল হক বাদল, শাহরিয়ার আলম, সরোয়ার হোসেন, আশীষ মুখোপাধ্যায়,অধ্যক্ষ জেএম ইকবাল, মোস্তাক হোসেন শিম্বা, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মাহবুবুর রহমান মজনুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন শিল্পকলা একাডেমি,উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী যশোর জেলা সংসদ, চাঁদের হাট, মাইকেল সংগীত একাডেমি, সুরবিতান, সুরধুনী, পুনশ্চ, নৃত্যবিতান, শিল্পকলা, ভৈরব, উৎকর্ষ, মা নৃত্যালয়, সুর নিকেতনের শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে মোট ১০ রকম পিঠা প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিবর্তন যশোরের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রিপন।