অমর নায়ক সালমান শাহ। আরেক কিংবদন্তী অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি। বাংলাদেশের এই দুই তারকা বড় অসময়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তবে দর্শকদের হৃদয়ে বড় আসন জুড়ে বসে আছেন এ দুই জন।
মৃত্যুর দুই যুগেরও বেশি সময় পরও এতটুকু কমেনি সালমান শাহের আবেদন ও জনপ্রিয়তা। হুমায়ূন ফরীদিও নিজের মতো করে দর্শক হৃদয়ে অবস্থান করছেন। জনপ্রিয় এ দুই তারকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন ছিলো এটি জানার আগ্রহ থাকতেই পারে। এবার প্রকাশ্যে এলো তাদের সম্পর্কের কথা।
বেশ কিছু সিনেমায় সালামান শাহ ও হুমায়ূন ফরীদি একসঙ্গে কাজ করেছেন। ‘মায়ের অধিকার’, ‘বিচার হবে’, ‘আনন্দ অশ্রু’ এর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে ‘মায়ের অধিকার’ সিনেমায় মামা-ভাগ্নে চরিত্র আজও দর্শকের মনে জীবন্ত। সালমান-ফরীদির সম্পর্কটা এ সিনেমার মামা ভাগ্নের মতোই জমজমাট ছিলো বলে শমী কায়সারের এক কথোপকথোনে উঠে এসেছে।
সালমান শাহ তার অভিনয় জীবন ছোটপর্দায় শুরু করেন। এ সময় কিছু খন্ড ও ধারাবাহিক নাটকে তিনি জুটি বেঁধেছিরেন শমী কায়সারের সাথে। তাদের ভালো বন্ধুত্বও ছিলো তা অনেকের জানা। একটি লাইভ অনুষ্ঠানে সেকথাই জানান শমী। তানভীর তারেকের লাইভ আড্ডায় শমী বেশ কিছু অজানা তথ্য জানান দর্শকদের।
শমী কায়সার লাইভে বলেন, ‘সালমান শাহ যখন মারা যায় শমী হুমায়ূন ফরীদি এবং সুবর্ণা মুস্তাফা একটা শো করতে ভিয়েনাতে ছিলেন। তারা জানতেন না যে সালমান শাহ মারা গেছে। ফরীদি বলেন, ‘আমি একটু বাংলাদেশে ফোন করে আসি।অনেক আর্টিস্ট টেলিফোন বুথের বাইরে দাঁড়ানো। শমী কায়সার বলেন ,‘ফরীদি ভাই বুথের ভেতরে আমরা দেখতে পাচ্ছি বসে গেছেন। ফোনে কথা বলতে বলতে। আমরা দৌঁড়ে বুথের কাছে গেলাম। গ্লাাসের বুথ। ফরীদি ভাই কাঁদছেন। চিৎকার করে বলছেন সালমান মারা গেছে, সালমান বেঁচে নেই। আমরা কেউ তার কথাটা বিশ্বাস করতে পারলাম না।’
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে ঢাকাই সিনেমায় পা রাখেন সালমান শাহ। তিনি কাজ করেছেন ২৭টি সিনেমাতে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়।