এক লোক চাকরি করে। পেত্তেকদিন ব্যানবেলা তারে বাসে টেরেনে কইরে কাজে যাতি হয় আবার বৈকেলে ফিরে আসতি হয়। পিরায় বছর তিরেশেক চাকরির বয়সে ইরাম কোন দিন নেই যেদিন তার অপিস ছুটির পর ফিরার সুমায় টেরেন আসতি দেরী করিনি। টেরেনের জন্যি টিরটিরে পাকির মতো বইসে থাকাডাই যেন তার কপালের লিখন। একদিন সেই লোকটার চাকরির মিয়াদ শেষ হইয়ে গেছে। সেইদিন ঘটা কইরে তারে ফিয়ারওয়েল দেচে অপিস। ইডা উডা উপহার দেচে, গলায় ফুলির মালা দেচে, ভালোমন্দ খাওয়াচে। বিদায় বেলায় আবেগী কতাবাত্তারায় কান্দাকান্দি পন্তিক হইয়েচে। বিকেল বেলায় মন খারাপ কইরে পাচটার সুমায় ইস্টিশনে আইসেই দেকে টেরেন আইসে দাড়ায় আছে। দেইকে খুশিতি তার চোকি হাবরা পানি চইলে আইয়েচে। যাক অন্তত বিদেয়বেলায় এট্টা ভালো জিনুস দেইকে বাড়ি যাতি পাচ্চে। খুশির ঠ্যালা সহ্য কত্তি না পাইরে বিদেয়বেলা অপিসতে পাওয়া সব ফুলির মালা গলাত্তে উলায়ে যাইয়ে টেরেনের গলায় দেচে। তাই দেইকে ইস্টিশনের লোকজন দৌওড়োয় আইসে কচ্চে কি ব্যাপার ভাই, আপনি টেরেনের গলায় মালা দেচ্চেন কিয়েত্তি? লোকটা চোক মুছতি মুছতি কচ্চে, চাকরির সারাজীবন কোনদিন ফিরার সুমায় দেকিনি সুমায়মতো টেরেন আসতি। আর আইজ চাকরির শেষদিনি আইসে দেকি পাচটার টেরেন আইসে দাড়ায় আছে। দেইকে আর থির থাকতি পাল্লাম না, তাই অপিসতে যে ফুল স¹লি আমারে দিলো আমি সিডা টেরেনের গলায় দিয়ে দিলাম। লোকটার কতা শুইনে ইস্টিশন মাইস্টের কচ্চে কল্লেনডা, ইডাতো গতকালকের পাচটার টেরেন আইজ পাচটায় আইয়েচে! শুইনে তো বিটাডার কাইন্দে বুড়োনোর জুগাড়!
এট্টা খবরে আমাগের ইরাম কাইন্দে বুড়োনোর জুগাড়। যশোর পৌরসভায় ভোট নিয়ে চইলতেচে কুককুড়ি খেলা। একবার শুনা যাচ্চে ভোট হবে, আবার শুনা যাচ্চে হবে না। ফেসবুকিও যিরাম দুই রকম পোস্ট পাওয়া যাচ্চে, সিরাম পিপারেও। এরমদ্দি বৃহস্পতিবার বারবেলায় ফাইনাল চাউর হইলো রায় ভোটের পক্কে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট হবেই! সারাদিন গাবাগাবির মদ্দি সন্দ্যেয় রিটানিং অপিসার ভোট হচ্চে না বিলে কোটের এট্টা অডার স¹লিরে ধরায় দেচে। এই নিয়ে বাইদে গ্যালো হুটোপাটা। পরে জানা গেলো ৯ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে না বিলে কোট যে রায় দিলো সিডা যশোর আইয়েচে ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর ১৮ ফেব্রুয়ারির হবে বিলে যে রায় বাইরোচে সিডা কবে আসপে তা নাই তারা কতি পারে না।
দ্রুত রায় আসায় যে খুশী হইলাম, রায়ের কাগজ পরে আসায় ধন্দে পইড়ে গিলাম, মালাডা কারে দেব!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩