
রাজনীতির ময়দানে শিল্পীদের প্রবেশ ও বিচরণ নতুন কিছু নয়। দেশে দেশে এওখন এটা বেশ প্রচলিত। জনপ্রিয় অভিনেতা থেকে শুরু করে শিল্পীরা বিভিন্নভাবে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। তবে সম্প্রতি ওপার বাংলায় রাজনীতির ময়দানে বয়ে যাওয়া ‘হাওয়া’ চমকিত করছে সকলকে। জনপ্রিয় শিল্পীদের দল বদল থেকে শুরু করে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সকলকে চমকে দিয়ে রাজনীতিতে যোগদান এসব চিত্রে এখন সকলের প্রশ্ন একটি ‘রাজনীতিতে বিনোদন নাকি বিনোদনে রাজনীতি?’
প্রয়াত তাপস পাল, দেবশ্রী রায়, শতাব্দী রায়, বাবুল সুপ্রিয় নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়েরা ওপার বাংলায় বছরের পর বছর ধরে রাজনীতি করেছেন। তাদের দেখানো পথে আগেই হেটেছেন দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, সোহম চক্রবর্তী। তৃণমূলের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বিরোধী বিজেপি শিবিরে চলেও গিয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ এবং হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। এনিয়ে আলোচনা সমালোচনা।

আনন্দ বাজারের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে পথেও নামেন সায়নী। চলচ্চিত্র উৎসব কেন মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে ছেয়ে থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ঘোষিত ভাবেই এত দিন বামপন্থী ছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতেও দেখা গিয়েছে তাকে। টলিউডে ‘ঠোঁটকাটা’ বলে পরিচিত সেই সায়নী ঘোষ এ বার তৃণমূলে যোগ দিলেন। সায়নী নিজে যদিও তার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ এখনও খোলসা করেননি। তবে তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তোর কাছ থেকে এটা আশা করিনি সায়নী। তুইও বিক্রি হয়ে গেলি? খেলতে নেমে গেলি? দেখে কষ্ট হচ্ছে’।

বুধবার সাহাগঞ্জে সায়নীর সঙ্গেই জুন মাল্য, রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, মানালি দে, সুদেষ্ণা রায় এবং ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও ফুটবলার সৌমিক দে জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে জুন মাল্য, কাঞ্চন মল্লিক সকলের মুখে এক কথা, তারা বলেন রাজনীতি বুঝি না। কিন্তু মানুষ বুঝি। তবে ‘খেলা হবে’ শব্দের মাধ্যমে টুইস্ট রাখতে ভোলেননি কেউ।