Published : Wednesday, 3 March, 2021 at 6:48 PM, Count : 127

সামরিক জান্তা সরকারের দমনপীড়নের মধ্যেই মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। অন্যন্য দিনের মত বুধবারও দেশটির বিভিন্ন স্থানে রাজপথে নেমে আসে বিক্ষোভকারী। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি নিরাপত্তা বাহিনী। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায় তারা। এতে অন্তত নয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
নিহতদের মধ্যে- দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়তে ২ জন, ইয়াঙ্গুনে একজন, মিংগিয়ান শহরে একজন এবং সাগাইং অঞ্চলের মনওয়া শহরে ৫ জন পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, দেশের কেউ একনায়কতন্ত্র বা সামরিক শাসন চায় না। এটা বোঝানোই আমাদের (বিক্ষোভের) লক্ষ্য।
এদিকে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চিসহ মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের প্রেসিডেন্ট ও অধিকাংশ মন্ত্রীকে আটক করে। এর কয়েক দিন পর থেকেই দেশটির সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে।
অভ্যত্থানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ এসব বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকার। এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৩০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেক। সেই সঙ্গে প্রতিদিন চলছে ব্যাপক ধরপাকড়।
এর মধ্যে মইঙ্গিয়ান শহরে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিবদ্ধ হয়ে অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ১০ জন। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আহত হয়েছে অন্তত ৯ জন।
মইঙ্গিয়ান শহরের একজন স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক জানান, সেখানে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও তাজা গুলিবর্ষণ করে নিরাপত্তা বাহিনী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, মান্দালয়ে নিহত দুই জনের মধ্যে একজনের মাথায় গুলির আঘাত লেগেছে। অন্যজনের বুকে গুলি লেগেছে।
দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনসহ অন্যান্য শহরেও রাজপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সু চি সমর্থকরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই নিয়মিতভাবে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারির পর বুধবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।