Published : Wednesday, 3 March, 2021 at 10:30 PM, Count : 111

দেশ যে সময়ে উন্নয়নশীল বিশ্বে পা রাখছে, সে সময়ে দেশের জনসম্পদকেও সেই মাপের বা তার থেকে বেশি হতে হবে। একটি উন্নয়নশীল দেশকে উন্নত দেশের কাতারে টেনে নিয়ে যাবে যোগ্য ও দক্ষ জনশক্তি। সেটাই হতে হবে এখন দেশের জনসম্পদকে। তাই এখন সময় এসেছে সবকিছু পরিকল্পনা করে এগোনোর।
বাস্তবে দেখা যায়, রাষ্ট্রে ও পরিবারে অনেক কিছু পরিকল্পনা করা হয়, যেমন রাষ্ট্রে অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে গ্রাম অবধি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা অবধি। অন্যদিকে পরিবারে স্থায়ী বাসস্থান থেকে সঞ্চয় অবধি। কিন্তু সত্যি অর্থে রাষ্ট্রে তো নেই আর শতভাগ পরিবারে নেই সন্তান জন্মের আগে তাকে নিয়ে একটি সঠিক পরিকল্পনা। কিন্তু একটি উন্নয়নশীল দেশের এখন আর এভাবে অপরিকল্পিতভাবে সন্তান জন্ম দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এখন সন্তানের একটি সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়ে স্তরভেদে ও অর্থনৈতিক অবস্থানভেদে কী কী পরিকল্পনার ভেতর দিয়ে সন্তানকে নিয়ে পরিবারকে এগোতে হবে, তার সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দরকার। এবং তা তৈরি করে যথাপ্রচার করতে হবে। আবার বিশেষ করে যে শ্রেণির পরিকল্পনা করার কোনো ক্ষমতা নেই। যারা বোঝে না পরিকল্পনা কী? তাদের জন্য একটি পরিকল্পনা করে তাদের বোঝাতে হবে এভাবে, এ পথে তারা তাদের সন্তানদের বড় করবে। এবং তাদের সন্তানদের জন্য সেই ধরনের শিক্ষা ও কাজের একটি পরিকল্পনা সরকারের পক্ষ থেকে করতে হবে।
অন্যদিকে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারে এখন শুধু সন্তানের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিশ্চয়তা বা একটি চাকরির নিশ্চয়তা নয়। তার জন্মের পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে কীভাবে তাকে একজন বিশ্ব নাগরিক, আবার দেশের প্রতি আনুগত্যশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তার জন্য ছোটবেলা থেকে তাকে কী কী শিক্ষা দিতে হবে। তা ছাড়া সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বয়সের আগে বোঝা যায় না- একটি সন্তান বা শিশুর ব্রেইন কোন দিকটা বেশি আকর্ষণ করছে। কোনটাতে সে ভালো করবে। তাই বেসিক সকল বিষয়ে পরিবারে সে যাতে শিক্ষা পায়, তার জন্য তার জন্মের আগের থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। একটি পরিকল্পনা বাবা ও মা মিলে তৈরি করতে হবে। এ কথা মনে রাখা দরকার, পরিকল্পিত কোনো পথে এগোনো অপরিকল্পিত পথের থেকে অনেক সহজ ও সঠিক। এর পাশাপাশি সন্তান জন্মের পরে, তার বেড়ে ওঠার সময় মা ও বাবার অভ্যাস ও পরিবারের পরিবেশ কী হবে, সেটাও আগে থেকে ঠিক করে রাখতে হবে। অন্তত তার দশ বছর বয়স অবধি পরিবারের প্রতিবছরের পরিবেশ কী হবে, সেটার একটি স্কেচ তৈরি করতে হবে।
বাস্তবে এখন আমাদের সময় এসেছে বিশ্বমানের সন্তান তৈরি করে বিশ্ব ময়দানে তাদের প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দেয়ার। সাকিব যেমন ক্রিকেটে বিশ্বশ্রেষ্ঠ, তেমনি নানান দিকে, নানান বিষয়ে আমাদের সন্তানরা যাতে বিশ্বশ্রেষ্ঠ হয়, সে সময় আমাদের সামনে। তাই এ সময়ে পরিকল্পিত পথে এগোনো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।