Published : Friday, 2 July, 2021 at 9:25 PM, Count : 1233

দেশে করোনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হয়েই চলেছে। ৩০ জুন সকাল আটটা থেকে ১ জুলাই সকাল আটটা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৪৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। চারদিনের ব্যবধানে দেশে করোনা মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ এই মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ। এর আগে গত ২৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। গত টানা পাঁচদিন ধরেই করোনায় দেশে একশোর উপরে মানুষ মারা যাচ্ছেন। এর আগে ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, আর ২৮ জুন মারা যায় ১০৪ জন।
গত বছরের ৮ মার্চে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঠিক ১০ দিন পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগী মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৩ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনায় মারা গেলেন ১৪ হাজার ৬৪৬ জন। আর ২ জুলাইয়ের রেকর্ড ধরলে আরও ১৩২ জন এই মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা মহামারিতে মৃত্যুর হিসাব জানাতে গিয়ে বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বছরের মার্চে পাঁচ জন, এপ্রিলে ১৬৩ জন, মে মাসে ৪৮২ জন, জুনে এক হাজার ১৯৭ জন, জুলাইতে এক হাজার ২৬৪ জন, অগাস্টে এক হাজার ১৭০ জন, সেপ্টেম্বরে ৯৭০ জন, অক্টোবরে ৬৭২ জন, নভেম্বরে ৭২১ জন, ডিসেম্বরে ৯১৫ জন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫৬৮ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮১ জন, মার্চে ৬৩৮ জন, এপ্রিলে ২ হাজার ৪০৪ জন, মে’তে ১ হাজার ১৬৯ জন এবং জুনে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৮৪ জন। মোট ১৪ হাজার ৬৪৬ জনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেই চলতি বছরের ছয় মাসে মারা গেছেন। তথ্যানুযায়ী, মৃত্যু সংখ্যা ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজারে আসতে অর্থাৎ সর্বশেষ এক হাজার মৃত্যু হতে সময় লেগেছে মাত্র ১৫ দিন। আন্তর্জাতিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডোমিটারস জানায়, করোনায় মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৮তম।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কোভিড-১৯ রোগের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যে কারণে রোগীর মৃত্যুও হচ্ছে দ্রুত। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গত বছরের চেয়ে এবার আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হারও বেড়েছে অনেক বেশি তীব্রতা নিয়ে। এ হার আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। জাতি এই মৃত্যুর মিছিল দেখে দেখে ক্লান্ত এবং হতাশ। মৃত্যুর মিছিল থামার প্রতিক্ষায় আসুন সবাই সতর্ক হই। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।