Published : Thursday, 27 January, 2022 at 6:59 PM, Count : 310

করোনাকালীন লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মাধ্যমিকের পর এবার প্রাথমিকে অনলাইন ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অনলাইনে ক্লাস করানোর নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।
শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি হওয়া এ নির্দেশনার আলোকে ইতিমধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু হয়েছে। এবার প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও অনলাইনে ক্লাস করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই সাথে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোন বা ব্যক্তিগতভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে পড়ার বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অধিদপ্তর, নেপ ও এনসিটিবি প্রণীত ২০২২ সালের বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা (জানুয়ারি-এপ্রিল) ইতিমধ্যে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুসরণ করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনুমোদিত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইনে (Google Meet) পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। মোবাইল ফোন ও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিও কর্তৃক পরিচালিত ‘ঘরে বসে শিখি’ পাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অনলাইন ক্লাসের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে চলমান ‘ঘরে বসে শিখি’ পাঠ সম্প্রচারের সময়টুকু বাদ দিয়ে অনলাইন পাঠদানের সময় নির্ধারণ করতে হবে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার সব শিক্ষার্থীকে শ্রেণিশিক্ষক ও বিষয়শিক্ষক প্রতি ভাগ করে দিবেন। শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সাথে মোবাইল ফোনে ও ব্যক্তিগতভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে শিক্ষার্থীদের পাঠ অগ্রগতির খোঁজখবর নিবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকার সময় প্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এসএমসির সদস্যদের সহযোগিতা নেবেন। বিদ্যালয়ে নিয়মিত পরিষ্কার পরিছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।