Published : Saturday, 29 January, 2022 at 12:37 AM, Count : 238

যশোরে করোনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধির মধ্যে ব্যাংকগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। সংক্রমণরোধে অর্ধেক জনবল নিয়ে ব্যাংক পরিচালনা করায় এমন জটিলতা হচ্ছে বলে মন্তব্য কর্মকর্তাদের। ফলে, গ্রাহক সেবা দিতে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছেন তারা। গ্রাহকরাও অভিযোগ তুলছেন সেবা না পাওয়ার। কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে সেবা নিতে হচ্ছে তাদের। ব্যাংক কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও গ্রাহকদের মধ্যে অনুপস্থিত।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে অর্ধেক জনবল নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়।
তবে, আবশ্যকীয় ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে নিজ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানানো হয় ওই নির্দেশনায়। এছাড়া, ব্যাংকে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানারও নির্দেশ দেয়া হয় ওই চিঠিতে।
কিন্তু গ্রাহকরা মাস্ক বা অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যাংকগুলোতে ভিড় করছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, অর্ধেক জনবল দিলে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় নির্দেশ থাকলেও গ্রাহক কম আসছে না। ফলে, সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে দাবি কর্মকর্তাদের।
বুধবার সোনালী ব্যাংকের যশোর কর্পোরেট শাখায় ৬০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য এক ঘণ্টা ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয় মহাসিন আলী একব্যক্তিকে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অস্থির হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, অর্ধেক জনবলের ব্যাপার না। গ্রাহক আসলে ভালোভাবে সেবা দিতে হবে। এ জন্য গ্রাহকদের ব্যাংকে আসার জন্য নিয়ম করে দেয়া উচিত।
সজিব হোসেন নামে একজন গ্রাহক বলেন, অঞ্চল ভিত্তিক ভাগ করে দিলে ব্যাংকে ভিড় কমতে পারে।
জনতা ব্যাংক যশোর এরিয়া অফিসের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার অনুতোষ ঘোষ বলেন, কম সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে গ্রাহকদের সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে, দু’একটি বেসরকারি ব্যাংকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে তা তদারকি করতে দেখা গেছে।