
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, যখন দেশের ক্রীড়াঙ্গন অনেক এগিয়ে তখন দেশের প্রথম ডিজিটাল ও শত্রুমুক্ত জেলা যশোর পিছিয়ে যাচ্ছে। এখানে আরও ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ ও স্টেডিয়ামের উন্নয়ন খুবই জরুরি। এ কারণে জেলায় সকল রাজনীতিক ব্যক্তি, সুধি সমাজ ও সংসদ সদস্যদের সাথে নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাজী নাবিল আহমেদ ক্রীড়াপ্রেমী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিবারের সন্তান। সেই জায়গা থেকেই তিনি যশোরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিসহ ক্রীড়াঙ্গনে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন। তার নেতৃত্বে ক্রীড়াঙ্গন সফলতার সাথে এগিয়ে চলেছে। তার এই ক্রীড়ামোদী কর্মকান্ডের জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ক্রীড়ার সবচেয়ে সম্মানজনক পদক জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। শুক্রবার বিকেলে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া বাফুফের সহসভাপতি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংবর্ধনায় ক্রীড়া সংগঠকদের ফুল ও ভালোবাসায় সিক্ত হন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। অনুষ্ঠানে কাজী নাবিল আহমেদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত কাজী নাবিল আহমেদ এমপি বলেন, বাবার হাত ধরে ক্রীড়াঙ্গনে পথ চলা শুরু হয় তার। এই পুরস্কার আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। যারা দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনে সফলতার সাথে কাজ করছেন তারাই এটা পেয়ে থাকেন। তাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এমপি।
যশোর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজামান মিঠরু সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তৃতা করেন ক্রীড়া সংগঠক ওয়াজেদ আলী মাস্টার, খান মোহাম্মদ শফিক রতন, আলমগীর সিদ্দিকী, সাইফুজ্জামান মজু, এফএম মঈনুদ্দিন রোম, মোস্তাক হোসেন শিম্বা, তৌহিদুর রহমান, শামীম এজাজ, নিবাস হালদার, আশরাফুল ইসলাম, কাজী তৌফিকুল ইসলাম শাপলা, তৌফিক জামান, সাবেক জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাবিনা ইয়াসমিন, মনিরুজ্জামান মিন্টু, শেখ আজিমুল্লাহ, শরিফুল ইসলাম, ইমরুল হোসেন, রিয়াজ আহমেদ, আসাদুল্লাহ খান বিপ্লব, রাশেদ আব্বাস রাজ, মোস্তাক হোসেন সিম্বা, আনসারুল ইসলাম মিন্টু, শফিউল ইসলাম মোহন, সাব্বির আহমেদ পলাশ, মফিজুর রহমান ডাবলু, শাহিদুল ইসলাম বাচ্চু ও আনসারুল ইসলাম মিন্টু।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, শিগগির যশোরে নির্মাণ করা হবে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। শুক্রবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ায় জেলা যুবলীগের দেয়া সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যশোর মেডিকেল কলেজকে পাঁচশ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রূপ দিতে কাজ করছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী।
এ সময় বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি মনির হোসেন টগর, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, জেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল, জেলা যুবলীগের সদস্য শেখ জাহিদুর রহমান লাবু, ওয়াহিদুজ্জামান বাবলু, শহর যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান মিলু, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায় শহিদুজ্জান শহিদ প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্চালক মঈন উদ্দিন মিঠু ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ সরদার।
এদিকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে শুক্রবার সকালে শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে এমপি কাজী নাবিল আহমেদকে ফুল এবং উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধিত করেন সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সহসভাপতি এজেডএম সালেক, মোকসেদ সফি, শফিয়ার রহমান মল্লিক ও আখিরুজ্জামান সান্টু, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল, যুগ্ম সম্পাদক এবিএম আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, সদস্য সোহেল আল মামুন নিশাদ, আনোয়ার হোসেন মুস্তাক প্রমুখ।