Published : Monday, 23 May, 2022 at 8:49 PM, Count : 101

প্রতারণা করে বাল্য দিয়ে দেয়া এবং বরকে আটকে রেখে আড়াই লাখ টাকার দাবিতে হুমকি প্রদানের ঘটনায় যশোরে এক আইনজীবী সহকারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে আরেক আইনজীবী সহকারী মামলা করেছেন। সোমবার শহরতলির বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা আইনজীবী সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন এই মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মৃত হানেফ মোল্লার দু’ ছেলে ইউপি সদস্য কায়েম আলী ও সাইদুল ইসলাম, আহাদ উল্লাহর ছেলে সেলিম হোসেন এবং দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম শিমুল।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, কায়েম আলী তার সহকর্মী। সেই সুবাধে তাদের মধ্যে পরিচয় এবং সুসম্পর্ক রয়েছে। কায়েম আলী তার পুতনি এইচএসসিতে পড়াশুনা করছে বলে বাদীকে বিয়ে করার জন্য ফুঁসলাইতে থাকে। বাদী এক পর্যায়ে আসামিদের বাড়িতে কায়েমের পুতনি শান্তাকে দেখতে যান। দেখার পরে তার মনে হয় মেয়ের বয়স কম। এই কথা বলার পর জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে কাগজ তৈরি করে আসামিরা বাদীর সাথে নাবালিকা ওই মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পরে শান্তাকে আটকে দেন আসামিরা। আব্দুল্লার বাড়িতে শান্তাকে যেতে বাধা দেন তারা। এরপর নানা তালবাহানা করে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয় তারা। এরমধ্যে গত ২২ মার্চ আব্দুল্লাহকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। বাড়িতে ডেকে একটি ঘরে আটকে রেখে ওই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে আব্দুল্লাহর পরিবার গিয়ে উদ্ধার করে।